বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী জোট ‘মহাগাটবন্ধনকে’ ধরাশায়ী করে ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট বড় ব্যবধানে জিততে যাচ্ছে বলে এখন পর্যন্ত গণনাকৃত ভোটে আভাস মিলেছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকাল তিনটা পর্যন্ত গণনা হওয়া ভোটে বিজেপি–জেডিইউ’র এনডিএ–র প্রার্থীরা ২০৪টি আসনে এগিয়ে আছেন, আরজেডি–কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট এগিয়ে মাত্র ৩২টি আসনে। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় এ রাজ্যটিতে সরকার গড়তে লাগবে ১২২টি আসন। খবর বিডিনিউজের।
ভোটের ‘ট্রেন্ড’ ঠিক থাকলে নীতীশ কুমার–ই ফের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। যদিও এবার সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জেতা দল হিসেবে আবির্ভাব ঘটতে পারে বিজেপির। এনডিএ জোটে থাকা চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টিও ২০টির বেশি আসনে জিততে যাচ্ছে। ধরা খেয়েছে ‘নির্বাচনের হাওয়া বদলে দেওয়ার’ অঙ্গীকার করা প্রশান্ত কিশোরের জান সুরাজ পার্টি। শুরুর দিকে এক পর্যায়ে চারটি আসনে তাদের প্রার্থীরা এগিয়ে থাকলেও এখন সব আসনেই পিছিয়ে পড়েছে। সীমাঞ্চলের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোর ৫টি আসনে এগিয়ে আছে আসাদুদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএম। ‘মহাগাটবন্ধনের’ মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আরজেডি–র তেজস্বী যাদব তার নিজের আসনেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছেন। ২০১৫ সাল থেকে আসনটি দখলে রাখা এ লালুপুত্রকে আগে এ আসন সহজেই জিততে দেখা গেছে। তেজস্বীর ভাই তেজপ্রতাপ যাদব তার আসনে ১২ হাজারের বেশি ভোটে পিছিয়ে আছেন। তেজপ্রতাপ ভোটের আগে নতুন দল খুলেছিলেন। ২০২০ সালে ৭৫টি আসনে জিতে আরজেডি রাজ্যে বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। কংগ্রেস সেবার ১৯টি আসনে জিতেছিল। এবার এই দুই দলের অবস্থাই শোচনীয়। নারী ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণই এনডিএ জোটের এমন অভাবনীয় ফলের কারণ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রশান্ত কিশোরের দল এনডিএবিরোধী ভোট কাটবে বলে অনেকে আগেই আশঙ্কা করেছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের প্রাপ্ত ভোট ‘না’ ভোটের চেয়ে সামান্য বেশি হওয়ায় ভোটের মাঠে তারা কোনো ধরনের দাগ কাটতে পারেনি বলেই ধরা যায়। অভাবনীয় জয়ের সুবাস পাওয়া বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এরই মধ্যে বিহারের অনেক জায়গায় উৎসব শুরু করে দিয়েছে। দিল্লিতে বিজেপির কার্যালয়েও দেখা যাচ্ছে স্বস্তি, আনন্দ। যে ব্যবধান দেখা যাচ্ছে, শেষ পর্যন্ত ফলে তারই প্রতিফলন দেখা গেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ধ্যায় ভাষণ দিতে পারেন বলেও আভাস মিলেছে।











