চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘ সময় পড়ে ২৪টি কংক্রিট মিক্সার লরিসহ বিভিন্ন ধরণের ৬৪ লট পণ্যের নিলাম আজ। বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারী) এসব গাড়ি ও পণ্য কিনতে চাইলে কাস্টমসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রস্তাবিত মূল্য দাখিল করতে পারবেন। অনলাইনে প্রস্তাবিত মূল্য দাখিল করা যাবে আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত। এর আগে গত ১৫ জুলাই থেকে প্রস্তাবিত মূল্য দাখিল শুরু হয়। এছাড়া পণ্য প্রদর্শনের সময় বেঁধে দেওয়া হয় ১৬ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চীনের তৈরি সাদা লাল রঙের ১০ চাকার কংক্রিট মিক্সার লরি ২০২২ মডেলের। চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি হয় ২০২৩ সালে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ২৪টি গাড়ির মধ্যে ১০টির সংরক্ষিত দাম ধরেছে ৬৩ লাখ ৭২ হাজার ৪১৯ টাকা। বাকি ১৪টির দাম ধরেছে ৭৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৯১ টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের বিডারররা বলছেন, দ্রুত নিলামে তোলার কারণে গাড়িগুলো একদম নতুন অবস্থায় আছে। এসব গাড়ি আগেও একবার নিলামে তোলা হয়েছিল। কিন্তু উপযুক্ত মূল্য পাওয়া না যাওয়া কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিক্রয় অনুমোদন দেয়নি। চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, কনক্রিট মিক্সার লরি ছাড়াও নিলামে উঠেছে সোলার প্লান্টের ক্যাপিটাল মেশিনারি, এয়ারকন্ডিশনার পার্টস, থ্রি হুইলার হর্ন, চিনিগুড়া সুগন্ধী চাল, থিনার, ক্যাটার পিলার ফিড ব্রান, ফরমিক এসিড, থার্মেরিক ফিঙ্গার, ফিনিশিং এজেন্ট, ওয়াশিং মেশিন, শার্প ব্র্যান্ড চেস্ট ফ্রিজার, ফেব্রিক্স, প্যাকিং ম্যাটরিয়ালস, লিকুইড প্যারাফিন, স্টিল শিট ও পাইট ফিটিং অন্যতম।
চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে নিলামযোগ্য পণ্য আমরা দ্রুত নিলাম করছি। বন্দরের জট নিরসনে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ২৪ট কংক্রিট মিঙার লরিসহ নিলামে তোলা হয়েছে। আগামীকাল (আজ) দুপুর ২টা পর্যন্ত দরপত্র নেওয়া হবে। এরপর কোন বিডার কত দর দিয়েছেন জানতে পারব। দরপত্র যাচাই বাছাই শেষে সর্বোচ্চ দরদাতাদের অনুকূলে কাস্টমস নিলাম কমিটি বিক্রয় অনুমোদন দেবে।
উল্লেখ্য, আমদানি করা পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারককে সরবরাহ নিতে হয়। এ সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেওয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ চার্জ পায় না।