ও হে জীবন! আবার হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হও

মৃন্ময়ী মৃম | বুধবার , ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা সুরে সুরে ডেকে নিয়ে গেছে শিশুদের। এই পৃথিবীতে তাই কোন যৌবনের ডাক নেই। ছানিপড়া চোখে শহরগুলো খুঁজে মরে যৌবনের দূত। বার্ধক্য খুটে খায় জীর্ণ শহরের শরীর। জ্বরা আর মৃত্যুর ঘ্রাণে বসন্ত কাঁদছে বিলাপে। শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় জীব ও মানুষে!
ও হে জীবন! আবার হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হও। আর একবার সুর তোলো শৈশবের। তোমার পেছন পেছন নাচতে নাচতে কৈশোর আসুক নাটাই-ঘুড়ি হাতে। যৌবন উঁকি দিক চোখের তারায়। স্বপ্নের বারতা নিয়ে ভরে উঠুক মনের দেহবল্লভ। খসে পড়ুক মনের জীর্ণ খোলস। ফুটুক সব কৃষ্ণচূড়া ভালোবেসে ভালোবাসায়। সফেদ মেঘমালা নাচুক নীলাম্বরে। ডুবে যাক যত হতাশা, দুঃখ নীল জলের অতলে। হয়ে উঠুক মণিমুক্তো। জ্বরা আর মৃত্যু ঝরে পড়ুক পাতার মতো। মড়মড় ধ্বনিতে বাজুক মোহন প্রেমের আলোয় চিরনবীন মন। আবার হেঁটে যাক ঝুম বৃষ্টিতে প্রেমিকার হাত ধরে সাহসী প্রেমিকের পদযুগল। কাগজের নৌকা ভাসিয়ে দিক প্রবল বরিষণের ধারায় দুরন্ত কৈশোর। শৈশব দুলে উঠুক কদম ডালের দোলনায়। শুরু হোক অরণ্যে হারিয়ে পথ কেটে পথচলা। ছুঁয়ে আসুক দিগন্ত। জন্ম নিক অনাদি ভালোবাসায় নবীন ভুবন। বেঁচে থাকুক জীবন মৃত্যুর তাজ পরেও সগৌরবে, চির বৈভবে অবিরাম ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিআরবিতে নয় আইস ফ্যাক্টরি রোডে হোক হাসপাতাল
পরবর্তী নিবন্ধজার্মান দার্শনিক রুডল্‌ফ ক্রিস্টফ অয়কেন