ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিরল রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার

৮ ম্যাচে টস ৮-০ এবং ম্যাচও ৮-০

স্পোর্টস ডেস্ক | বুধবার , ৩০ জুলাই, ২০২৫ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

সিরিজ শেষে মিচেল মার্শ হাসিমুখে বললেন, সিরিজের আগে ভাবতেও পারিনি ৫০ হবে। অস্ট্রেলিয়ার টিটোয়েন্টি অধিনায়ক বলেছেন শুধু এই সংস্করণের কথা। ৫ ম্যাচের টিটোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার কাজটা আদতেই খুব কঠিন। তবে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অস্ট্রেলিয়ার সাফল্য তো শুধু একটি সংস্করণেই নয়, প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে টেস্ট সিরিজও তারা জিতেছে ৩০ ব্যবধানে। সফরের সব ম্যাচেই টস জয়ের হাসি শেষ পর্যন্ত রূপ নিয়েছে ম্যাচ জয়ের উচ্ছ্বাসে। অস্ট্রেলিয়ার নাম উঠে গেছে রেকর্ড বইয়ে। শেষ টিটোয়েন্টিতে তিন উইকেটের জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছে অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট ও টিটোয়েন্টি সিরিজ মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ানরা দেশে ফিরছে ৮০ ব্যবধানে জয়ের অনন্য সাফল্য নিয়ে। নিজেদের সুদীর্ঘ ক্রিকেট ইতিহাসে এক সফরে কোনো ম্যাচ না হেরে বা ড্র না করে তাদের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের কীর্তি এটি। ২০০৫ সালের নিউজিল্যান্ড সফরেও ৮ জয় ছিল তাদের। তবে সঙ্গে ছিল একটি ড্র। বিশ্বরেকর্ড অবশ্য ছুঁতে পারেনি এই অস্ট্রেলিয়াও। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে ভারত কোনো ম্যাচ না হেরে বা ড্র না করে জিতেছিল ৯ ম্যাচ। সেন্ট কিটসে সিরিজের শেষ ম্যাচে গতকাল মঙ্গলবার সকালে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের ভিত গড়ে দেন বোলাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয় ১৭৩ রানে। জবাবে অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটসম্যান বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে কার্যকর কয়েকটি ইনিংস দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেয় তিন ওভার বাকি রেখেই। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ চার ওভারের মধ্যেই হারায় দুই ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং (১১) ও শেই হোপকে ()। রভম্যান পাওয়েলের চোটে শেষ সময়ে দলে যুক্ত হওয়া কেসি কার্টি তিনে নেমে ফেরেন ১ রানেই। শেরফেইন রাদারফোর্ড পাল্টা আক্রমণে দলকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। তবে ১৭ বলে ৩৫ রান করে তিনি বোল্ড হয়ে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে। এরপর দলকে টেনে নেন মূলত শিমরন হেটমায়ার। পঞ্চম উইকেটে ৪৭ রানের জুটি গড়েন তিনি জেসন হোল্ডারের (২০) সঙ্গে, ইনিংসের যা সর্বোচ্চ জুটি। জ্বলে উঠতে পারেননি রোমারিও শেফার্ড। একটি করে ছক্কা ও চার মেরে ১৫ রানে ফেরেন ম্যাথু ফোর্ড। তিনটি করে চার ও ছক্কায় হেটমায়ার করেন ৩১ বলে ৫২। শুরুর দুই উইকেট নেওয়ার পর এই হেটমায়ারকেও ফিরিয়ে ম্যাচের সেরা বেন ডোয়ার্শিস। অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়ার শুরুটাও ছিল বাজে। মিচেল মার্শ (১৪) ও জশ ইংলিস (১০) দ্রুত ফিরে যান। আগের ম্যাচের নায়ক গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আউট প্রথম বলেই। ২৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। তবে এই সিরিজের ধারা মেনে উইকেট পতনের মধ্যেও তাদের আক্রমণের স্রোত বইতে থাকে। সিরিজে তিনটি ফিফটি করা ক্যামেরন গ্রিন ১৮ বলে করেন ৩২।

তৃতীয় ম্যাচে বিস্ফোরক সেঞ্চুরির পর চতুর্থ ম্যাচে বিশ্রামে থাকা টিম ডেভিড এ দিন একাদশে ফিরে চার ছক্কায় ৩০ রান করেন স্রেফ ১২ বলে। প্রথম ম্যাচে ফিফটি দিয়ে অভিষিক্ত মিচেল ওয়েন শেষ ম্যাচেও দেখান ব্যাটের ধার। তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৩৭ রান করেন তিনি ১৭ বলেই। লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে বাকি পথটা পাড়ি দেন অ্যারন হার্ডি (২৮*)। সব ম্যাচ জিতে উচ্ছ্বসিত অধিনায়ক মার্শ বললেন, চতুর্থ ম্যাচ জয়ের পর শেষটিও জিততে মরিয়া ছিলেন তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনারী এশিয়া কাপের কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধআর্জেন্টিনাকে হারিয়ে উইমেন’স কোপার ফাইনালে কলম্বিয়া