ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচের প্রথম ইনিংসে একাই লড়াই করেছিলেন চট্টগ্রামের ছেলে শাহাদাত হোসেন দিপু। তার হাফ সেঞ্চুরিতে ২৩৭ রান করেছিল স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে আবার হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এবারে তার সাথে যোগ দিয়েছেন চট্টগ্রামের আরেক তরুণ ইরফান শুক্কুর। এই দুইজনের হাফ সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ‘এ’ দল সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান। ফলে দুই ইনিংস মিলিয়ে স্বাগতিকরা এগিয়ে ১৬৬ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল তাদের প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩৪৫ রান। তৃতীয় দিন শেষে ইরফান শুক্কুর অপরাজিত রয়েছেন ৬৪ রানে। তার সাথে অপরাজিত রয়েছেন চট্টগ্রামের আরেক তরুণ নাঈম হাসান।
আগের দিনের ৬ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটার জশুয়া ডা সিলভা ও সিনক্লেয়ার গড়েন বেশ ভালো জুটি। তাদের ৬৩ রানের জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। ৬৩ বলে ৩২ রান করে ফিরেন সিনক্লেয়ার। এরপর দ্রুতই অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। একপ্রান্ত আগলে রেখে ১১২ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন জশুয়া। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে চার উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। সাইফ হাসান পান দুই উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা আশা জাগানিয়া ছিল বাংলাদেশের জন্য। ৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান। কিন্তু রেমন রেইফারের বলে ফিরেন ১৫ বলে ১৩ রান করা জাকির। এরপর ১৮ বলে ১৬ রান করে আকিম জর্ডানের বলে ফিরেন সাইফ হাসান। তার বিদায়ের পর নাঈম শেখের সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়েন সাদমান ইসলাম। কিন্তু ৩৬ বলে ২৮ রান করে সিনক্লেয়ারের বলে নাঈম বোল্ড হলে এই জুটি ভাঙে। তারপর শাহাদাৎ হোসেন দীপুর সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন সাদমান। কিন্তু নিজের ইনিংসটাকে খুব বেশি বড় করতে পারেননি তিনি। ১২৭ বলে ৭৪ রান করে আকিম জর্ডানের বলে এলবিডব্লিউ হন। ৯ বলে ৪ রান করে ফিরেন অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব। প্রথম ইনিংসের ন্যয় দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হলেন আফিফ। সতীর্থদের ব্যর্থতার মাঝেও টানা দুই ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান দীপু। কিন্তু এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ৭টি চারের ৬৮ বলে ঠিক ৫০ রান করে ফিরেন দিপু। এরপর থেকে দলের ইনিংস টেনে নিয়ে যান ইরফান শুক্কুর ও নাঈম হাসান। ১১টি চারের সাহায্যে ৮৫ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত আছেন ইরফান। আর ৩১ বলে ১৪ রান করা নাঈমকে নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করবেন ইরফান শুক্কুর।