তৃতীয় ম্যাচে ৪ উইকেটে পরাজিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়াইট ওয়াশ করলো বাংলাদেশ। সে সাথে উইন্ডিজের বিপক্ষে টানা ১১টি ওয়ান ডে ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও গড়েছে টাইগাররা। ১৭৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে বাংলাদেশ ৯ বল হাতে রেখেই লক্ষে পৌঁছে যায়। তামিম ৩৪, লিটন ৫০, মাহমুদউল্লাহ ২৬, সোহান ৩২ ও মেহেদী ১৬ রান করেন। প্রথম দুই ম্যাচে সহজ জয় এলেও এ ম্যাচে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ওয়ানডে সিরিজে এ নিয়ে তৃতীয়বার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। ২০০৯ ও ২০২০ সালের পর আবারও বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো ক্যারিবীয়রা। প্রতিবারই সিরিজ হেরেছে ৩-০ ব্যবধানে।
রিজার্ভ বেঞ্চ পরখ করার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। সেটা হয়নি। শুধুমাত্র পেসার শরীফুলের জায়গায় স্পিনার তাইজুল ইসলামকে সুযোগ দেয়া হয়। সুযোগ পেয়েই করলেন পারফর্ম। ২ বছর ৪ মাস পর একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলতে নেমে দারুণ টার্ন করালেন বল, পেলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ উইকেটও, তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হলো অলআউট। গায়ানায় তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে বাংলাদেশের সামনে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেওয়া বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুলই। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ৯ বল খেলে ৮ রান করা ব্রেন্ডন কিংকে বোল্ড করেন তিনি। দ্বিতীয় সাফল্যটাও আসে তাইজুলের হাত ধরেই। এবার ১৫ বলে ২ রান করা শাই হোপকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি।
১৫ রানে ২ ওপেনারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ক্যারিবীয়দের বিপদ আরও বাড়ান মোস্তাফিজুর রহমান। দলের একমাত্র পেসার ৮ বলে ৪ রান করা শামারাহ ব্রুকসকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন। এরপর ক্যারিবীয় ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ও এই সিরিজে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া কেসি কার্টি।
স্বাচ্ছন্দ্যে খেলে দুজন গড়েন ৬৭ রান। বিপত্তিটা বাঁধে ইনিংসের ২৭তম ওভারে। নাসুম আহমেদের বল মিড অন দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন কার্টি। কিন্তু বল উঠে যায় উপরে। ক্যাচ ধরেন তামিম ইকবাল। কার্টির ৬৬ বলে ৩৩ রানের সম্ভাবনাময়ী ইনিংস শেষ হয় হতাশায়।
এরপরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আশার আলো হয়ে ছিলেন পুরান। তার ব্যাটে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলার পর হাত খুলেছিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়কও। তবে তাকে বোল্ড করেই নিজের ফাইফার পূরণ করেন তাইজুল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলআউটের পথে বাধা ছিলেন পুরান। তার বিদায়ের পর তাতে সময় বেশি লাগেনি। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১০৯ বলে ৭৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান পুরান। ৪৮ ওভার ৪ বলে ১৭৮ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২ মেডেনসহ ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। নাসুম আহমেদ ৩৯ রান এবং মোস্তাফিজুর রহমান ২৪ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন। ১টি উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন।