সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি এবং ব্যবহারের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। এই মামলার বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র জানিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে বন্দি সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সরকারি গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ ১১টি মামলা হয়েছে। সবগুলোতে দোষী সাব্যস্ত হলে নোবেলজয়ী এ নেত্রীর সর্বোচ্চ ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে। খবর বিডিনিউজের।
সোমবার দেওয়া রায়ে মিয়ানমারের আইন লঙ্ঘন করে একটি অননুমোদিত ওয়াকিটকি নিজের কাছে রাখার দায়ে দুই বছর এবং একটি সিগন্যাল জ্যামার সেট রাখায় এক বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। দুটি সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে ওই সূত্রটি। মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোয় সামরিক জান্তার একটি বিশেষ আদালতে সু চির রুদ্ধদ্বার বিচার হচ্ছে। গণমাধ্যমকে এই বিচার প্রক্রিয়ার খবর জানানো হচ্ছে না এবং সু চির আইনজীবীদেরও সংবাদ মাধ্যম এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
মামলার বিচারকাজে ৭৬ বছর বয়সী সু চিকে কয়েদীদের পোশাক হিসেবে সাদা জামা এবং বাদামি রংয়ের লুঙ্গি পরে আদালতে হাজির হতে দেখা গেছে। সামরিক অভ্যুত্থানে সু চি আটক হওয়ার পরপরই পুলিশের একটি নথিতে বলা হয়েছিল, তার বাড়িতে ছয়টি ওয়াকিটকি পাওয়া গেছে। সেগুলো অবৈধভাবে আমদানি করে অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা হয়েছে। গত মাসে দেশটির সামরিক শাকস মিন অং হ্লাই জানিয়েছেন, সু চি এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্টকে বিচার চলার সময়ে একই স্থানে রাখা হবে এবং তাদের আপাতত কারাগারে পাঠানো হবে না।