‘বঙ্গোপসাগরের প্রাণী জেলিফিশ বাংলাদেশের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। প্রাণীটি দেশের সুনীল অর্থনীতিতে রাখতে পারে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জেলিফিশ থেকে তৈরি হচ্ছে সার, কীটনাশক, ওষুধ ও কসমেটিক্সসহ নানা পণ্য। খাদ্য হিসাবেও জনপ্রিয় কিছু প্রজাতির জেলিফিশ। অথচ দেশে এর কোনো অর্থনৈতিক মূল্যই নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব জেলিফিশ দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে কক্সবাজারস্থ বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিওআরআই) উদ্যোগে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বিজ্ঞানীরা এমন মতামত পেশ করেন। ‘জেলিফিশকে জানি, এই সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগাই’ শীর্ষক উক্ত সেমিনারে বিজ্ঞানীরা আরো বলেন, পৃথিবীতে প্রায় ২ হাজার প্রজাতির জেলিফিশ আছে। এর মধ্যে ১০/১২ প্রজাতির জেলিফিশ খাওয়া যায়। আর আমাদের বঙ্গোপসাগরেরও অন্তত একটি জেলিফিশ খাওয়ার উপযোগী। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের সেমিনার হলে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যথাক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অনুষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. রাশেদ-উন-নবী, বাংলাদেশ ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) মেরিন ফিশারিজ এন্ড টেকনোলজি স্টেশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি অনুষদের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. এম গোলাম মোস্তফা। প্রফেসর ড. আশরাফুল আজম খানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, প্রফেসর ড. ব্রগদেশ্বরন সুব্রানিয়াম, ড. শফিকুর রহমান, অমিতা কুমারী চৌধুরী ও মো. শিমুল ভূঁইয়া।