ওর নাম লালু মাস্তান

১৭ মণ ওজনের গরুটির দর হাঁকা হয়েছে আট লাখ টাকা

শফিউল আজম, পটিয়া | শনিবার , ১৫ জুন, ২০২৪ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

১৭ মণ ওজনের লালচে বর্ণের গরুটির নাম ‘লালু মাস্তান’! হাবভাব, চালচলনেই বোঝা যায় কেন তার এ নাম? গরুটির রাখাল আবদুল গণি জানালেন, গরুটি অনেকটা ঘাড় ত্যাড়া টাইপের। মর্জিমাফিক নাহলে সহজে সামলানো যায় না। তাই আদর করে দীর্ঘ এক বছর ধরে লালন পালন করা এ গরুটির নাম রেখেছি ‘লালু মাস্তান’। পটিয়া পৌরসদরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত এস এ এগ্রো ফার্মে দীর্ঘ এক বছর ধরে লালিত পালিত হয়ে আসছে লালু মাস্তান নামের এ গরুটি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নামের সঙ্গে গরুটির স্বভাবে ভালই মিল রয়েছে। ঘাড় ঘুরিয়ে একবার একদিকে চলে গেলে আর এদিকওদিক করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। নাকে রশি দিয়েও আটকানো যায় না। যখন কোনো দিকে চলে যেতে চায় থামানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। অত্যন্ত সুঠাম দেহের অধিকারী প্রায় ১৭ মণ ওজনের লালু মাস্তানের দাম হাঁকা হয়েছে আট লাখ টাকা।

কোরবানিতে দাম বড় কথা নয়, সুন্দর, সুস্থ ও সুঠাম দেহের অধিকারী পশুই বেশি উপযুক্ত জানিয়ে এস এ এগ্রোর মালিক শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, এক বছর আগে সাড়ে তিন লাখ টাকায় গরুটি ছোট অবস্থায় বগুড়া থেকে কেনা হয়েছে। এখন বেশ নজরকাড়া হয়েছে লালু মাস্তান। তিনি বলেন, আমাদের খামারে উন্নত জাতের গরু পবিত্র কোরবান ছাড়াও সবসময় পাওয়া যায়। খামারে গরুর পাশাপাশি মহিষও বিক্রি হয়। এসব গরু মহিষকে দানাদার ও সবুজ ঘাস এবং শুষ্ক খাবার দিয়ে থাকি। সারাবছরই আমাদের খামারের গরু মহিষগুলো অত্যন্ত নায্যমূল্যে বিক্রি হয়ে থাকে। তিনি জানান, বিগত বছরগুলোতেও আরো অনেক বড় বড় গরু মহিষ এখান থেকে বিক্রি হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহালিশহরে গুদামে ব্যবসায়ীর লাশ
পরবর্তী নিবন্ধসরকার হাট এলাকায় ৮ ঘণ্টা ধরে তিন কিলোমিটারের বেশি যানজট