ওরাও তো মানুষ

মাহমুদা মৌ | বৃহস্পতিবার , ১১ মে, ২০২৩ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

রিক্সাওয়ালা চাচা হাঁপাতে হাঁপাতে

ঘন ঘন নিঃশ্বাস নেয়।

আমি বলিচাচা কী হয়েছে?

কিছু হয় নাই মা!

তাহলে এমন করছেন কেন?

ঘামে মুখ কপাল চকচক করছে।

তবু নম্রভাবে বলেন

ক্ষুধার সাথে, রোগের সাথে,

দারিদ্রের সাথে যুদ্ধ করছি।

প্রতিদিন ভাবি

জিনিসের দাম কমবে আর কিছু টাকা জমিয়ে

ডাক্তার দেখাবো কিন্তু না ;

প্রতিদিন দ্রব্যমূল্য বাড়তেই আছে।

আমাদের মতো ভুখানাঙ্গা মানুষ রুটি খাইয়াও

বাঁচার উপায় নাই। আটারও দাম বেশি।

মাছ গোশত তো কবে খেয়েছি মনে নাই।

শাসকেরা রঙিন চোখে পৃথিবী দেখে

আমাদের মতো গরীবেরা কিভাবে খেয়ে পরে

বাঁইচা আছিতা দেখোনের কেউ নাই।

দ্যাশে মা, বউ বাচ্চা তারাও অভুক্ত।

আগে দ্যাশে জিনিসের দাম কিছু কম ছিল,

এখন শহর গ্রাম বলে কিছু নাই;

সবখানেই সমান।

আমি মনে মনে বলি

ওরাও তো মানুষ

ওদেরও তো খেয়ে পরে বাঁচার অধিকার আছে!

তাদেরও তো শ্রমের ঘামের দাম আছে।

প্রতিদিন উঁচু উঁচু অট্টালিকা উঠছে।

শাসকেরা নানা পদের খাবার খাচ্ছেন,

বড়ো বড়ো বারে চুটিয়ে আড্ডা হচ্ছে

অথচ দারিদ্র নামক লাভায়

হাবুডুবু খাচ্ছে মধ্যবিত্ত আর দিনমজুর।

কথায় আছে

ধনীকে ধন দেন

রাজাকে রাজ্য দেন

স্বর্গের সব কটা দরজাই খুলে দেন;

শুধু গরীবকে দেন না কিছুই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশূন্য নটিকেল মাইল
পরবর্তী নিবন্ধমেঘ পালকে মা