১০ বছর পর নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হারের বৃত্ত ভেঙেছে বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে উদ্বোধনী ম্যাচে নিগার সুলতানা জ্যোতিরা জয়খরা কাটায়। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছে তারা। অথচ বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে জয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু হয়নি ব্যাটারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ বাকি দুটি। আগামী ১০ আক্টোবর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে মেয়েদের শেষ ম্যাচটি দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ১২ অক্টোবর। এই দুই ম্যাচ জিততে মেয়েরা আত্মবিশ্বাসী, বললেন বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ তালহা জুবায়ের। সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে হলে বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় পেতে হবে বাংলাদেশকে। এরপরে সমীকরণ দেখে বোঝা যাবে শেষ ম্যাচের গুরুত্ব কতখানি। জুবায়ের মনে করেন, তাদের এখনও সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ রয়েছে। বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘আমাদের এখনও সুযোগ আছে (সেমিফাইনালে খেলার)। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর মতো সামর্থ্য আমাদের আছে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে এর আগে হারিয়েছি। এই বিশ্বাসগুলো দলের মধ্যে আছে। মেয়েরা এটাও খুব ভালোভাবে বিশ্বাস করছে যে, তারা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে পারফরম্যান্স করেছে, তার চেয়ে অনেক ভালো দল তারা। আশা করি, আমরা বিশ্বাস নিয়েই মাঠে থাকতে পারবো। পরবর্তীতে ম্যাচ যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে, তাদের সঙ্গে আমরা জিততে পারবো।’ জেতার জন্য তিন বিভাগে ভালো করার বিকল্প দেখেন না জুবায়ের, ‘অবশ্যই জিততে গেলে তিনটা ডিপার্টমেন্টেই ভালো করতে হবে। ইংল্যান্ডের সঙ্গে আমরা গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে ভালো করেছি। হয়তো দুটো ক্যাচ মিস হয়েছে। ওই কারণে কিছুটা পিছিয়ে গেছি। আমাদের ক্যাচিংটা আরও ভালো হতে পারে। এমন বড় ম্যাচে যদি আপনি ভালো ব্যাটারদের সুযোগ দেন, তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে ম্যাচটি ছিনিয়ে নিয়ে যাবে। ফিল্ডিংয়ে আমাদের একটু উন্নতি করার জায়গা আছে। ব্যাটিংয়ে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে। আমি মনে করি আমরা যদি ইতিবাচকভাবে ব্যাটিং করতে পারি, ব্যাটারদের মধ্যে ইনটেন্ট থাকে, তাহলে আমরা ভালো রেজাল্ট আনতে পারবো।’ পরের ম্যাচের আগে দলের সবার মানসিকতা ইতিবাচক বলেই জানালেন বাংলাদেশের বোলিং কোচ, ‘ইংল্যান্ড শুরুতে পাওয়ার প্লেতে যেভাবে ব্যাটিং করেছিল, আমরা সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আমরা তাদেরকে ১১৯ রানের মধ্যে থামিয়ে দিয়েছি। আমাদের ব্যাটিংয়ে কিছু ত্রুটি ছিল। আমরা পাওয়ার প্লে টা ব্যবহার করতে পারিনি। আমার মনে হয় এইরকম সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে, এটা সত্যিই ভীষণ হতাশার।’ তবে হতাশা কাটিয়ে পুরো দলই এখন সামনে তাকিয়ে, ‘আমরা ইতিবাচক কথাই বলছি। আপনি দেখেন এমন বড় স্টেজে এসে খেলতে নেমে চাপ থাকেই। ইংল্যান্ডের সঙ্গে আমরা খুবই কম ম্যাচ খেলেছি বিগত দিনে। অভিজ্ঞতার দিক থেকেও ইংল্যান্ড আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল। ওদের অভিজ্ঞতার কাছেই আমরা হেরে গেছি। পুরো দল এখন ইতিবাচক আছে, এমন না যে আমরা ভেঙে পড়েছি। আমার মনে হয় পরবর্তী ম্যাচের আগে আমরা যেহেতু দুই দিন অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছি, আমাদের সুযোগ এখনো আছে। আমরা চেষ্টা করছি যতটা দৃঢ় মানসিকতা ও ইতিবাচক শারীরিক ভাষা নিয়ে মাঠে নামা যায়।’