পথচারীদের সুবিধার্থে কালুরঘাট সেতুতে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হলেও ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে সেতু পার হচ্ছে জনসাধারণ। বিকেল হলে অনেককে সেতুর উপর দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে দেখা যায়। ফলে যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
ওয়াকওয়ে দিয়ে পার হওয়া মো. তসলিম উদ্দীন বলেন, সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওয়াকওয়ে তৈরি করে দেয়া হয়েছে। তারপরেও কিছু মানুষ নিরাপদে চলাফেরা না করে ঝুঁকি নিতে পছন্দ করে। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। মো. মামুন বলেন, আমরা চলাফেরা করছি ওয়াকওয়ে দিয়ে। আর কিছু অসচেতন মানুষ আছে–তারা ওয়াকওয়ে দিয়ে চলাফেরা না করে সেতুর উপর দিয়ে পারাপার হয়। দুর্ঘটনা হলে এর দায়ভার কে নিবে? পরে দেখা যাবে যানবাহনকে দোষারোপ করা হচ্ছে। নিজে সচেতন হলে অধিকাংশ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
সেতু পার হওয়া সিএনজিচালিত টেক্সিচালক মো. আমজাদ হোসেন বলেন, মানুষের নিরাপত্তার জন্য ওয়াকওয়ে তৈরি করা হয়েছে। সেদিকে না হেঁটে মানুষ সেতুর উপর হাঁটাচলা করে। এসবের কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘ্নতা ঘটে। টেম্পোচালক মো. বেলাল বলেন, বিকেল হলে কিছু যুবক এসে সেতুর উপর ছবি তুলে। অনেক সময় টিকটক করতেও দেখা যায়। এতে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। এসব বন্ধ না হলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা আছে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা বলেন, মানুষের জীবনের নিরাপত্তার জন্য ওয়াকওয়ে তৈরি করা হয়েছে। তারপরেও মানুষ সচেতন না হলে আমরা কী করতে পারি। আর সেতুতে ছবি বা ভিডিও করার বিষয়ে আমরা সতর্কবার্তা দিয়ে দিব।
উল্লেখ্য, সংস্কার কাজ শেষে গত ২৭ অক্টোবর কালুরঘাট সেতুতে যানচলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।