ওমানে বাংলাদেশী প্রবাসীদের একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা ‘বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব’। সেখানে বাংলাদেশী যে কোনো সংগঠন চাইলেই কোন প্রোগাম আয়োজন করতে পারেন না। সমপ্রতি ওমানের সমাজ উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবকে ভূয়সী প্রশংসা করে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে এবং ক্লাবের চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে তার সেবার জন্য সম্মানিত করেছে। সংগঠনটি প্রবাসীদের নিয়ে বৃহত্তর নোয়াখালী ও বৃহত্তর কুমিল্লা নামে আরও দুটি শাখা খোলার অনুমোদনও পেয়েছে।
জানা যায়, ওমান সরকারের নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত ‘বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব’ ওমানে প্রবাসীদের বৃহত্তম একটি সংগঠন, যা ১৯৯৫ সাল থেকে ওমানে প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করে চলেছে। গত ২০ আগস্ট ওমানের পত্রিকা ও পোর্টাল টাইমস ওব ওমানে ‘বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ওমানে সামাজিক–সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আমিন আহমেদ পিএসসি, বীর বিক্রম এবং আল নুমান সংগঠনটির উদ্বোধন করেন। সামাজিক–সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও সংগঠনটি রক্তদান এবং দুর্দশাগ্রস্ত প্রবাসীদেরকে সাহায্য করার পাশাপাশি নানান ধরনের জনহিতকর কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত রয়েছে। অতীতে, বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব শুধুমাত্র মাস্কাটে তার কার্যক্রম পরিচালনা করতো। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে, সালালায় নতুন একটি শাখা খোলা হয়।
ক্লাবের বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল হক জানান, কমিউনিটির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল ক্লাব নতুন উইং খোলার দিকে মনোনিবেশ করছে। ক্লাবের চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি সামাজিক উন্নয়ন ওমানের মন্ত্রণালয় থেকে সালালাহ শাখা, বৃহত্তর নোয়াখালী শাখা, বৃহত্তর কুমিল্লা শাখা এবং মহিলা শাখা খোলার অনুমোদন লাভ করেন। তিনি ক্লাবের সমপ্রসারণ পরিকল্পনায় সহায়তার জন্য ওমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি কমিউনিটির উন্নতির জন্য সহায়তা এবং মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস মাস্কাটের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সিরাজুল হক আরো জানান, বৃহত্তর চট্টগ্রাম উইং, স্পোর্টস উইং এবং যুব উইং এর মতো আরও কয়েকটি উইং খোলার বিষয়টি বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।