বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে গতকাল। এবারের প্রতিযোগিতার দ্রুততম মানব নির্বাচিত হয়েছে পাহাড়তলী দলের মো. ওমর ফারুখ। ১০০ মিটার দৌড়ে তিনি সময় নিয়েছেন ১০.৫৬ সেকেন্ড। এছাড়া দলগতভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকশী দল। তারা গতবারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন পাকশী দল ৭টি স্বর্ণ, ৫টি রৌপ্য এবং ৫টি ব্রোঞ্জ পদক সহ মোট ১৭টি পদক পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। সৈয়দপুর দল ৫টি স্বর্ণ, ৮টি রৌপ্য এবং ২টি ব্রোঞ্জ পদক সহ ১৫টি পদক পেয়ে রানার্স আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। তৃতীয় হয়েছে লালমনিরহাট জেলা দল। তারা তিনটি স্বর্ণ এবং ৪টি ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে। চতুর্থ হয়েছে স্বাগতিক চট্টগ্রাম। তারা ২টি স্বর্ণ, ৩টি রৌপ্য এবং তিনটি ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে। এই প্রতিযোগিতায় মোট ৮টি দল অংশ গ্রহণ করে। অন্যান্য দল গুলোর মধ্যে হেডকোয়ার্টার (পশ্চিম) ২টি স্বর্ণ, একটি রৌপ্য এবং ২টি ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে। পাহাড়তলী একটি স্বর্ণ ২টি রৌপ্য পদক লাভ করে। ঢাকা দল একটি ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে। হেডকোয়ার্টার (পূর্ব) দল একটি রৌপ্য এবং ২টি ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে।
গতকাল বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে দুই দিনব্যাপি এই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্রীড়া নিয়ন্ত্রন বোর্ডের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু জাফর মিয়া সহ বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দুই দিনব্যাপি এই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রথম দিনে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেছিলেন প্রধান অতিথি ও রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম এমপি। বাংলাদেশ রেলওয়ের এই দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাকে ঘিরে রেলওয়ের কর্মকর্তা, কর্র্মচারীদের মাঝে উৎসবের সৃষ্টি হয়। এই প্রতিযোগিতা এক রকম মিলন মেলায় পরিনত হয়। সারাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রধান অতিথি রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির তার বক্তব্যে এ ধরনের সুন্দর প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি চ্যাম্পিয়ন, রানার্স আপ সহ অংশগ্রহণকারী সকল দলকে অভিনন্দন জানান। সে সাথে তিনি বলেন রেল এখন দেশের মানুষের কাছে আস্থার একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এই কাজ করার পাশাপাশি রেলওয়ে কর্মকর্তা, কর্মচারীদের শরীর ও মন ভাল রাখার জন্য এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করাও জরুরি বলে মনে করেন তিনি।