রাউজানে ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আসামি করা হয়েছে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ ও উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইউসুফ তালুকদারকে। গত বৃহস্পতিবার এ মামলা দায়ের করা হয়। যদিও ওমরাহ পালনের জন্য ৪ অক্টোবর থেকে সৌদি আরব অবস্থান করছেন ফিরোজ। এছাড়া গত ১৩–১৪ বছর ধরে রাউজানে না যাওয়ার দাবি করেছেন ইউসুফ।
পুলিশ জানায়, গত ১৮ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৩টা ২৫ মিনিটে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাউজান থানার গুজরা ইউনিয়নের বড় ঠাকুরপাড়া গ্রামের সুরেন্দ্র কারিগর মোড়ের দক্ষিণ দিকে বটগাছতলা সড়কে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জানে আলম (৪৬), মো. আব্দুল্লাহ খোকন (৩৮) ও মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বাবুকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের হেফাজত থেকে দুটি দেশীয় তৈরি এলজি, দুই রাউন্ড কার্তুজ, দুটি রামদা, একটি লোহার তৈরি কাটার এবং একটি দা উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে মো. শাহ আলম, মো. ইউসুফ তালুকদার, জানে আলম, লোকমান প্রকাশ লাড্ডুম, জসিম ও মো. ফিরোজ আহমেদসহ (ফিরোজ মেম্বার) অজ্ঞাতনামা ৩–৪ জন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এসআই টুটন মজুমদার বাদী হয়ে অস্ত্র ও দণ্ডবিধির ৩৯৯ ও ৪০২ ধারায় পৃথক দুটি মামলা করেন।
এর মধ্যে জানে আলম চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক। তার স্ত্রী রুনা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, রাউজানের গ্রামের বাড়ি থেকে নগরের বাসায় ফেরার পথে গত সোমবার পুলিশ আটক করে তিনদিন আটকে রাখার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাকে।
ফিরোজের আহমদের ছেলে ফারদিন আহমদ জানান, ৪ অক্টোবর চট্টলা হজ কাফেলার হয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ওমরাহ পালনের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেন তার বাবা। বর্তমানে তিনি মক্কায় আছেন।
ইউসুফ তালুকদার বলেন, ‘বিএনপি করার কারণে মা–বাবার মৃত্যুর পর জানাযায় অংশ নিতে পারিনি। গত ১৩–১৪ বছর ধরে এলাকায় যেতে পারছি না, চট্টগ্রাম শহরে থাকি। এরপরও আমাকে ডাকাতির মামলার আসামি করা হল।’
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল হারুন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফিরোজ আহমেদকে আসামি করা হয়। তিনি মামলায় সংশ্লিষ্ট না হলে চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হবে।












