ওঝাকে না পেয়ে ফিরলেন ঘরে, বমির পর হাসপাতালে নিতেই মৃত্যু

সাপের কামড়

পটিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

সকাল ১০টায় সাপে কামড়েছিল গৃহবধূ ফেরদৌস বেগমকে (৩৫)। হাসপাতালে না গিয়ে গেলেন ওঝার বাড়িতে। সেখানে ওঝাকে না পেয়ে ফিরে যান ঘরে। সাপে কাটা স্থানে কাপড় পেঁচিয়ে শুয়ে ছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ পর শুরু হয় বমি ও অসুস্থতা। দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসা শুরুর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ফেরদৌস বেগম।

নিহত গৃহবধূ পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের শুক্কর হাজীর বাড়ির বড়লিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বেলখাইন গ্রামের মোহাম্মদ রাসেলের স্ত্রী। তার ১২ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

নিহতের ভাই মোহাম্মদ বেলাল হোসেন জানান, গতকাল মঙ্গলবার ফেরদৌস বেগম ঘরের বাথরুমের ভেন্টিলেটরের পাশে ভিমবার জালি রাখতে গেলে তাকে বিষাক্ত সাপ কামড় দেয়। পরে তিনি পার্শ্ববর্তী ওঝার বাড়িতে গেলে তাকে না পেয়ে ঘরে এসে সাপে কামড় দেয়া আঙুলে কাপড় পেঁচিয়ে শুয়ে থাকেন। এক পর্যায়ে বেশি অসুস্থতাবোধ করেন এবং বমি করেন। এ সময় তাকে উদ্ধার করে দুপুর আড়াইটার দিকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় এন্টিভেনম ইনজেকশন দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আবু তৈয়ব জানান, ফেরদৌস বেগমকে আনুমানিক ৪/৫ ঘণ্টা পূর্বে কোন বিষাক্ত সাপ কামড় দেয়। বাড়িতে তিনি বমিও করেন। মূলত হাসপাতালে আনতে দেরি হওয়াই তার মৃত্যুর কারণ। তাকে আনার সাথে সাথে আমরা জরুরি বিভাগের সিটে রেখেই এন্টিভেনম ইনজেকশন দেয়ার আগেই তিনি মারা যান। তাকে পরিবারের লোকজন বাড়িতে নিয়ে গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পটিয়ায় রিকশাচালক খুন
পরবর্তী নিবন্ধস্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা