নগরীর ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের ওএমএসের ডিলার মো. ফিরোজ উদ্দিন সরকারি ওএমএসের চাল ও আটা নায্যমূল্যে নিম্নবিত্তদের কাছে বিক্রি না করে আত্মসাৎ করার বিষয়টি হাতেনাতে ধরলেন খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। খাদ্য আধিদপ্তর থেকে যে চাল দেয়া হয়েছে সেই চাল বাইরে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে পচা চাল এনে নিম্নবিত্তদের কাছে বিক্রি করছিলেন তিনি। অনিয়মের অভিযোগে ডিলার ফিরোজের অনুকূলে ওএমএস বরাদ্দ স্থগিত পরবর্তী ডিলারশিপ বাতিলের জন্য ঢাকায় সুপারিশ করা হয়েছে। একই সাথে আত্মসাৎ করা ১৩৮ কেজি চাল, ১৫৩.৬৫০ কেজি আটার দ্বিগুণ জরিমানা করা হয়। গতকাল একদিনে খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে ওএমএসের ২৯২ কেজি চাল–আটা চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে।
গতকাল সকাল ৯টায় ২নং জালালবাদ ওয়ার্ডের ওএমএসের ডিলার মো. ফিরোজ উদ্দিনের মেসার্স ফিরোজ ট্রেডিংকে হানা দেয় খাদ্য অধিদপ্তর। পরির্দশনকালে খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বাস্তব মজুদের সাথে মাস্টাররোল যাচাইকালে ১৩৮ কেজি চাল, ১৫৩.৬৫০ কেজি আটা কম পাওয়া যায়। যা ওএমএস নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও ডিলার কর্তৃক প্রদত্ত অঙ্গীকারনামার শর্ত ভঙ্গের শামীল। উক্ত চাল ও আটার অর্র্থনৈতিক মূল্যের দ্বিগুণহারে ২৯,৯০৭ টাকা জরিমানার অর্থ ট্রেজারী চালানমূলে আজ বৃহস্পতিবার সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করে চালান কপি দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে উক্ত ডিলারের অনূকূলে ওএমএস বরাদ্দ স্থগিত করা হয়েছে।
সম্প্রতি নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে নতুন ওএমএসের ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়।
এতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ডে নিয়োগ দেয়া হয় মেসার্স ফিরোজ ট্রেডিংকে (ডিলার মো. ফিরোজ উদ্দিন)।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস. এম. কায়ছার আলী বলেন, আমি তো ভিড়িও ফুটেজ দেখে রীতিমত বিস্মিত হয়েছি ওই ডিলার যে চাল বিক্রির জন্য বের করেছেন এগুলো গরুর খাবারেরও অযোগ্য; মানুষের খাবারতো দূরের কথা। এই চাল তো আমাদের দেয়া চাল না! এটার জন্য ওর ডিলারশিপ বাতিল হবে। যেহেতু এটা আত্মসাৎ তাই এটা আত্মসাতের মামলা হবে।
নিম্নবিত্তদের জন্য নায্যমূল্যে বিক্রি করা জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সরকারি চাল–আটা আত্মসাৎ ঠেকাতে সর্বোচ্চ নজরদারি ও তদারকি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস. এম. কায়ছার আলী।