চালের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় গতকাল থেকে নগরী ও জেলার ৯০টি পয়েন্টে ডিলারের মাধ্যমে খোলাবাজারে (ওএমএস) ১৮০ মেট্রিক টন চাল ও নগরীর জন্য সাড়ে ৯ মেট্রিক টন আটা বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
খোলাবাজারে ওএমএস’র চাল বিক্রি কর্মসূচি শুরুর গতকাল প্রথম দিনে সকাল থেকে নগরী ও জেলার প্রতিটি ট্রাক সেল পয়েন্ট এবং প্রতিটি ডিলারের দোকানে সাধারণ মানুষের দীর্ঘ লাইন লেগেছিল। এই কর্মসূচির আওতায় নগরীর ১৯ ডিলারের দোকানে এবং ১৪টি খোলা ট্রাকে ৬৬ মেট্রিক টন চাল এবং শুধুমাত্র ১৯টি দোকানের ডিলারের মধ্যেমে সাড়ে ৯ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়াও চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলা ও পৌরসভার ৫৭টি ডিলার কেন্দ্রে ২ মেট্রিক টন করে ১১৪ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হচ্ছে।
গতকাল সকালে নগরীর বেশ কয়েকটি ট্রাক সেল পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি ট্রাকের সামনে কেজি ৩০ টাকা কেজি দামে চাল কিনতে সাধারণ মানুষের দীর্ঘ লাইন। একজন ভোক্তা প্রতিটি ট্রাক থেকে ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি ওএমএসের চাল ক্রয় করতে পারছেন। অপরদিকে নগরীর ১৯টি ডিলারের দোকানে একজন সাধারণ ক্রেতা ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি চাল ও ১৮ টাকা দামে ৫ কেজি আটা কিনতে পারছেন। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়।
এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের আজাদীকে জানান, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ন্যায্যমূল্যের বিশেষ ওএমএসের চাল বিক্রি কার্যক্রম আগামী তিন মাসব্যাপী নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে চলবে। প্রথম দিনেই প্রতিটি পয়েন্টে ভোক্তাদের প্রচুর ভিড় ছিল। আমরা নগরীতে ১৪টি ট্রাকে ২৮ মেট্রিন টন চাল বিক্রির জন্য দিয়েছি। পাশাপাশি আমাদের নির্ধারিত ডিলারের মাধ্যমে নগরের ১৯টি পয়েন্টে (ডিলারের দোকানে) ৩৮ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ৯ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্রাকে ও দোকানে ২ মেট্রিক টন করে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি দোকানে চালের সাথে ৫০০ কেজি আটাও বিক্রি করা হচ্ছে। একজন ক্রেতা খোলা ট্রাক থেকে ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি চাল পাচ্ছেন। এ ছাড়া ডিলারের দোকান থেকে ৩০ টাকায় ৫ কেজি চাল ও ১৮ টাকায় ৫ কেজি আটা কেনা যাচ্ছে।
অপরদিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় থাকা ভোক্তারা মাসের হিসাবে ৩০ কেজি চাল পাবেন ১৫ টাকা দরে প্রতি কেজি। এই কর্মসূচিতে তালিকাভুক্ত পরিবার চাল কিনতে পারবে। আর ওএমএসের চাল যে কেউ কিনতে পারবে। এই কর্মসূচির আওতায় ১৫ উপজেলার ৮০ হাজার ৬৯৪ পরিবার এ সুুবিধা পাবে।