ঐতিহ্যের বাংলা নববর্ষ

শরণংকর বড়ুয়া | রবিবার , ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ at ১০:০২ পূর্বাহ্ণ

যাক যাক যাক আঁরঅ ঘরত যাক, দুনিয়ার যত বিদ্যাবুদ্ধি ধনসম্পদ সোনারুয়া ট্যাঁয়া পইসা আঁরঅ ঘরঅত যাক, যত রোগ ব্যাধি ব্যারাম স্যারাম হাত দইরস্যা পাড়ই যাক। বছরের শেষে ভোর সকালে বাড়ির ঘাটায় এখনও গ্রামে কেয়াগাছ, বিষকাডালি গাছ পুড়িয়ে উক্ত কথাগুলো বড় করে গানের সুরে বলতে শুনি। সব বাড়িতে না করলেও এখনও অনেক বাড়িতে সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। উচ্ছ্বাস উৎসবে নববর্ষ। উৎস প্রিয় বাঙালির পহেলা বৈশাখ। বর্ষবরণ এবং বর্ষ বিদায়। উদ্দীপ্ত নতুনের আহবানে জীর্ন পুরাতনের বিদায় বির্বতনে বাংলা নববর্ষ। পহেলা বৈশাখ একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে গ্রামগঞ্জে। যার রূপ পরিবর্তন হয়ে বতর্মানে দেশের বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। বাঙালির নববর্ষ অসামপ্রদায়িক চেতনার অবগাহন। বাঙালির আত্ম গৌরবের দিন। এসো হে, বৈশাখ এসো। এসো যা কিছু জঞ্জাল মিথ্যাচার বৎসরের সব আবর্জনা দূর হয়ে যাক এই প্রত্যয়ে। সত্য সুন্দরকে বরণ করার জন্য সূর্যোদয়ের সোনালি সকালের অপেক্ষায় থাকে বাঙালিরা। বর্ষবরণ করার জন্য গ্রামগঞ্জ জুড়ে বিভিন্ন সংগঠন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্ণিল আয়োজনে মেতে ওঠে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সেটি পরিণত হয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসবে। মুছে যাক গ্লানি ঘুছে যাক জরা শোভাযাত্রার মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ এবং উদযাপন। চট্টগ্রামে মহামুনি পাহাড়তলী রাউজানে সেখানে বর্ষ বিদায় দেওয়ার জন্য হাজার হাজার পাহাড়িরা এসে খুবই আনন্দে উৎসব করে। তা দেখার জন্য হাজার হাজার বাঙালিরা ভিড় জমায়। সকালে শুরু হয় মহামুনি তরুণ সংঘ এবং মহামুনি সংস্কৃতি সংঘের বর্ষ বরণ প্রভাতফেরি। মেলা প্রাঙ্গণে মহামুনি ফনি তটি মঞ্চে লোকারণ্যে সভা ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠান দুই সংগঠনের মাধ্যমে বহু বছর ধরে চলে আসছে। সবার কামনা একটাই, নতুন বছর যেন কাটে সুন্দর ও সুখময়তায়। শুভ নব বর্ষ ১৪৩২ বাংলা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবর্ণিল বৈশাখ
পরবর্তী নিবন্ধঅমৃতসূর্য যৌবনবসন্ত