ঐতিহাসিক দিন

সবাইকে দিয়ে নিই, তারপর আমি নেব টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী

| বৃহস্পতিবার , ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বের অনেক দেশ যেখানে এখনও করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু করতে পারেনি, সেখানে ‘সীমিত শক্তির’ বাংলাদেশে এই কার্যক্রম শুরু করাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার বিকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বহু প্রত্যাশার টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে দেশে এই কর্মযজ্ঞের শুরু হয়। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে আগে নিলে বলবে আগে নিজেই নিল, কাউকে দিল না। সবাইকে দিয়ে নিই তারপর আমি নেব।
অনুষ্ঠানে কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঁচজনকে টিকা দেওয়া দেখেন প্রধানমন্ত্রী। অপর চারজন হলেন কুর্মিটোলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা, পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ট্রাফিক সদস্য দিদারুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ। হাসপাতালে ওই পাঁচজনসহ মোট ২৬ জনকে এদিন করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালের ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার পর সপ্তাহখানেক তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। সব ঠিক থাকলে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
টিকা নিতে ভয় পাচ্ছেন কিনা সে বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। তাদের সাহস যোগান, সশরীরে অনুষ্ঠানে থাকতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। সবাইকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সেই সাথে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে, আল্লাহর কাছে এইটুকু শুকরিয়া আদায় করি যে, আমরা সময়মতো এই ভ্যাকসিনটা ক্রয় করতে পেরেছি, আনতে পেরেছি এবং তা আজকে প্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের দেশের মানুষকে আমরা সুরক্ষা দিতে সক্ষম হব।
তিনি বলেন, এরপর সারা দেশে টিকা দেওয়া শুরু করা হবে, যাতে দেশের মানুষ তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্য সুরক্ষা পায়। উপহার হিসেবে ২০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
টিকার সমস্যা হবে না বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আমরা যে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ডোজ কিনেছি তার মধ্যে ৫০ লক্ষ এসে গেছে। আর বাকি এটা আমরা যখনই…আমরা দিতে শুরু করে দেব। এরপর থেকে আরও আসতে থাকবে। কাজেই এই ব্যাপারে কোনো সমস্যা হবে না। টিকা সংগ্রহ ও টিকাদান সবকিছু সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের জন্য একটা, আমি বলব এটা একটা ঐতিহাসিক দিন হলো। কারণ বিশ্বের অনেক দেশও এখনও শুরু করতে পারেনি। সেখানে আমাদের মতো একটি দেশ, ঘনবসতিপূর্ণ দেশ সীমিত অর্থনৈতিক শক্তি নিয়েই আমরা কিন্তু মানুষের কল্যাণে যে আমরা কাজ করি সেটাই আজকে প্রমাণ হলো।

এ সময় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল প্রান্তে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনার্স রুনু নিলেন প্রথম টিকা
পরবর্তী নিবন্ধজীবনের প্রথম ভোটেই মেয়র