ঐকমত্য কমিশনের সফলতায় অভিনন্দন প্রধান উপদেষ্টার

| রবিবার , ২ নভেম্বর, ২০২৫ at ৭:৫০ পূর্বাহ্ণ

সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের মাধ্যমে সাফল্যের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছে জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণ করায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি কমিশনের সদস্যদের ধন্যবাদ দেন বলে তথ্য দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের ঐতিহাসিক অর্জন। এই সনদ আমাদের জাতির এক মূল্যবান দলিল, যা আমাদের আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথকে কেবল সুগমই করবে না, জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে। খবর বিডিনিউজের।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জনগণ প্রত্যাশায় আছে জাতীয় জীবনে এমন কিছু পরিবর্তন দেখার জন্য, যা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে। এমন কিছু পরিবর্তন যা এদেশে আর কখনো কোনো স্বৈরাচারের আগমন ঘটতে দেবে না, এমন কিছু পরিবর্তন যা আমাদের জাতীয় জীবনে সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাবে, সবার নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করবে। তিনি বলেন, সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, আমরা নিজেরাই এই সংস্কার প্রক্রিয়াগুলো নিয়ে কাজ করেছি, একমত হয়েছি। বাইরের কেউ আমাদের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়নি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে যে সমস্ত রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা বিদেশিদের আসতে দেখেছি। বন্ধু রাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের প্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে এক টেবিলে আনার চেষ্টা করেছেন। তবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে যে আমাদের নিজেদের সংকট নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। এই কারণেই সকল রাজনৈতিক দল এক কাতারে এসেছে, রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিয়েছে এবং আমাদেরকে সমাধানের পথ দেখিয়েছে। বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে আমন্ত্রণ জানানোর পরিবর্তে আমরা নিজেরাই বিশ্ববাসীর দরবারে আমাদের জাতীয় ঐক্যকে তুলে ধরেছি। তিনি সব রাজনৈতিক দল ও নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতারা যারা এই সনদ তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তাদের সকলকে আমি জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

এই জুলাই সনদ বিশ্বের জন্যই একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পৃথিবীর আর কোথাও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটা পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঘটনা হয়ে থাকবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও সংকটকালীন সময়ে দেশগঠনের পদক্ষেপ হিসেবে ঐকমত্য কমিশন গঠনের কথা বিবেচনা করবে। তিনি ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ এবং সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া ও বিশেষ সহকারী মনির হায়দারকে ধন্যবাদ দেন।

পাশাপাশি মাসের পর মাস আলোচনার অগ্রগতি জনগণের কাছে সহজ ভাষায় তুলে ধরায় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
পরবর্তী নিবন্ধসাগরে ফের লঘুচাপের আভাস