দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশ পথ হিসেবে পরিচিত কর্ণফুলী উপজেলার প্রাণকেন্দ্র মইজ্জ্যারটেক আখতারুজ্জামান চত্বর। এ চত্বর কখনও ঘুমায় না, দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই থাকে যানবাহনের ছোটাছুটি, মানুষের হই–হুল্লোড়। অথচ কোটা আন্দোলন ও চলমান কারফিউ পরিস্থিতিতে এ যেন হয়ে গেল এক অচেনা মইজ্জ্যারটেক। নেই কোনো মানুষ, চলছে না গাড়ি, বন্ধ দোকানপাট, সব মিলিয়ে একদমই ফাঁকা মইজ্জ্যারটেক। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টইল।
এদিকে হাতেগোনা কয়েকটি রিকশা ও সিএনজি সড়কে থাকলেও যাত্রী না থাকায় তারাও এখন বিপাকে। পরিবার পরিজন নিয়ে আছেন কষ্টে। মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে মইজ্জ্যারটেক এলাকা ঘুরে এমনই চিত্র চোখে পড়ে প্রতিবেদকের। রিকশাচালক গফুর বলেন, আন্দোলন ও কারফিউর মধ্যে গাড়ি বের করতে পারছি না। স্ত্রী ও ছোট ছোট ছেলেমেয়ের মুখে আহার যোগাতে জীবনের ভয় উপেক্ষা করে রাস্তায় বের হয়েছি। কিন্তু যাত্রী পাচ্ছি না। এখন ভাড়া না পেলে চাল–ডাল কিনব কিভাবে?
আরেক রিকশা চালক জব্বার হোসেন বলেন, সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাত্র ২৪০ টাকা ভাড়া পেয়েছি। এখন এই টাকা দিয়ে নাকি গাড়ির ভাড়া দিব? নাকি পরিবারের জন্য চাল–ডাল কিনব। টইল দেওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কারফিউ জারি থাকায় সকাল থেকে মইজ্জ্যারটেক এলাকা পাহারা দিচ্ছি। মানুষজন রাস্তায় তেমন বের হচ্ছে না। গাড়িরও তেমন আনাগোনা নেই। কারফিউ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।