বাংলাদেশে গত একদিনে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে আরো ৮ জনের, তাতে এ বছর মশাবাহিত এ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬০৬ জন। গত ১৫ নভেম্বর এ সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছিল। তারপর ১২ দিনে আরো একশ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিল ডেঙ্গু। বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক বছরে এত মৃত্যু এর আগে হয়নি। ২০১৯ সালে ১৭৯ জন এবং ২০২২ সালে ২৮১ জন মারা যায় এইডস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে। খবর বিডিনিউজের।
এ বছর ডেঙ্গুতে যত মানুষ মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ঢাকায় ৯৩০ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৬৭৬ জনের। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়ায় ১৫ জুলাই। ২৫ জুলাই তা ২০০, ৫ অগাস্ট ৩০০, ১৪ অগাস্ট ৪০০, ২৩ অগাস্ট ৫০০, এরপর ২ সেপ্টেম্বর ৬০০, ৮ সেপ্টেম্বর ৭০০, ১৬ সেপ্টেম্বর ৮০০ এবং ২৪ সেপ্টেম্বর ৯০০ ছাড়ায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু। পরের ছয়দিনে আরও একশ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সংখ্যাটি হাজার ছাড়ায় ১ অক্টোবর। এরপর ১০ অক্টোবর ১১০০, ১৮ অক্টোবর ১২০০, ২৬ অক্টোবর ১৩০০, ৫ নভেম্বর ১৪০০ এবং ১৫ নভেম্বর দেড় হাজার ছাড়ায় মৃতের সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৯২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাতে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯ হাজার ৮৭ জনে। তাদের মধ্যে ২ লাখ ১ হাজার ৭৮৯ জনই ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার রোগী।
আর ১ লাখ ৭ হাজার ২৯৮ জন ঢাকার। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ৩ হাজার ৪৯৩ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ১০১১ জন ঢাকায় এবং ২ হাজার ৪৮২ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। মাসের হিসাবে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন, জুনে ৫ হাজার ৯৫৬ জন, জুলাইয়ে ৪৩ হাজার ৮৭৬ জন, অগাস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন, সেপ্টেম্বরে ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন এবং অক্টোবরে ৬৭ হাজার ৭৬৯ জন। ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরো ৩৭ হাজার ৯১২ জন ডেঙ্গু রোগী। আর জানুয়ারিতে ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিলে ২ জন, মে মাসে ২ জন, জুনে ৩৪ জন, জুলাইয়ে ২০৪ জন, অগাস্টে ৩৪২ জন, সেপ্টেম্বরে ৩৯৬ জন এবং অক্টোবরে ৩৫৯ জনের মৃত্যু হয় ডেঙ্গুতে। নভেম্বরের প্রথম ২৬ দিনে মৃত্যু হয়েছে ২৫৮ জনের।