এ নিয়ে তিনবার কাটা হলো বাগানের গাছ

হাটহাজারীর উদালিয়া

হাটহাজারী প্রতিনিধি | রবিবার , ৭ জুলাই, ২০২৪ at ৭:৩২ পূর্বাহ্ণ

হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড উদালিয়া গ্রামে রাতের আঁধারে আবারো মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ৫ একর জায়গা জুড়ে লাগানো প্রায় ছয় শতাধিক আম্রপালি, আপেল কুল ও কলা গাছের ৭ মাস ও ১ বছর বয়সী গাছ কেটে সাবাড় করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার ভুক্তভোগী পরিবারটি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে। এর আগে গত শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা এ ঘটনাটি ঘটায় বলে জানান তারা। এর আগেও দুইবার ওই বাগানের প্রায় সব গাছ কেটে নষ্ট করেছিল দুর্বৃত্তরা।

জানা যায়, ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সেকান্দর মিয়ার সন্তান হাবিব, সাইফুল ইসলাম ও সংবাদকর্মী মহিন উদ্দীন উক্ত স্থানে বিভিন্ন ফল গাছের বাগান করেন। বাগান তৈরি করা, চারা রোপণ থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত ঋণ করা ৮ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু গতকাল শনিবার সকালে প্রতিদিনের মতো বাগানে গিয়ে দেখা যায় শুক্রবার দিবাগত রাতে কে বা কারা বাগানের প্রায় চার শতের অধিক আম্রপালি, আপেল কুল এবং বিভিন্ন জাতের কলা গাছ কেটে তছনছ করে ফেলেছে। এতে ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রায় দশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

ক্ষতিগ্রস্ত হাবিবুর রহমান জানান, আমাদের সাথে কারো শত্রুতা নেই। প্রতিদিন আমি সকালে এবং বিকেলে দুইবার বাগানে এসে দেখে যাই। গতকাল বিকেলেও এসে দেখে গিয়েছিলাম। কিন্তু শনিবার সকালে বাগানে এসে দেখি এই বাগানের সব আম, বরই ও কলা গাছ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়েছে। ২০২৩ সালের ২ জুন এবং চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি আমাদের বাগানের প্রায় ৬ শতাধিক কলা গাছের চারা কে বা কারা কেটে ফেলেছিলো। উভয় ঘটনায় আমি বাদী হয়ে মো. মানিক প্রকাশ শেয়ান মানিককে এবং অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে বিবাদী করে হাটহাজারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। ৮ জানুয়ারির অভিযোগের পর বিবাদী মানিক আমাদের অজান্তে দেশ ত্যাগ করেছিল। এর পরে ৭ মাসের মাথায় আবারও আমাদের সেই বাগান রাতের আধারে কে বা কারা কেটে সাবাড় করে দিল। এবার কে এই সর্বনাশ করল বুঝতে পারছি না। এই বাগান করতে গিয়ে আমরা বার বার ঋণগ্রস্ত হয়েছি। কীভাবে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠব বুঝতে পারছি না। পরপর তিনবার দুর্বৃত্তরা আমাদের বাগান কাটলো। আমরা এ ঘটনায় আবারো উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও হাটহাজারী মডেল থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মডেল থানার উপপরিদর্শক ফয়সাল জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। আমি ক্ষতিগ্রস্তদের মডেল থানায় নতুন করে একটা অভিযোগ দিতে পরামর্শ দিয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআন্দোলন শেষ হয়নি, চলমান আছে : খসরু
পরবর্তী নিবন্ধচিকিৎসক থেকে প্রেসিডেন্ট