কক্সবাজারের চকরিয়ায় দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে বেড়াতে এনে আপন ভাতিজিকে ধর্ষণ চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে চাচার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিশুর মা (বড় ভাইয়ের স্ত্রী) বাদী হয়ে গতকাল সোমবার চকরিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে মামলা রুজুর আগে থেকে আসামি আত্মগোপনে চলে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
লম্পট চাচার নাম মনছুর আলম প্রকাশ মিয়া (৩৮)। সে বিবাহিত এবং তার দুই সন্তানও রয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, ২০২০ সালের জুনে তাঁর স্বামী মারা যায়। এর পর থেকে মেয়ে ও পুত্র সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করছিলেন। কিন্তু দেবর মিয়া তাকে (মামলার বাদী) প্রতিনিয়ত কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। এ কারণে বাধ্য হয়ে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রামে পাড়ি দিয়ে সেখানে দর্জির কাজ শুরু করেন। অপরদিকে একমাত্র মেয়েকে চকরিয়াস্থ বাদীর ফুফুর বাড়িতে রেখে পড়াশোনা করাচ্ছিলেন। এরইমধ্যে চাচা মনছুর আলম প্রকাশ মিয়া বেড়াতে আসার জন্য বলায় গত ৮ জুলাই বিকেলে ভাতিজি বাড়িতে যায়। রাতে খাওয়া শেষে বাড়ির দুই কক্ষের এককক্ষে পাঁচ বছর বয়সী চাচাতো বোন ও সে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু ভোররাত তিনটার দিকে চাচা মনছুর তাদের কক্ষে ঢুকে ঘুমের মধ্যে মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ভাতিজি চিৎকার দিলে চাচা এই ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে বেরিয়ে পড়ে। এই ঘটনা মা জানার পর স্থানীয়ভাবে জনপ্রতিনিধিদের জানান এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী গতকাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করেন।