নগরীর ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার ১৩ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের মামলায় এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ ১৪ বিবাদীর নামে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী, বন্দর, বাকলিয়া, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও, পটিয়া ও আনোয়ারা থানা এবং ঢাকার দক্ষিণখান, ক্যান্টনমেন্ট ও গুলশান থানা এলাকায় থাকা তপশিলভুক্ত বিভিন্ন ফ্ল্যাট, বাণিজ্যিক প্লট ও ভবন হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। একই সাথে উক্ত ১৪ জন বিবাদীকে শোকজ করা হয়েছে। তাদেরকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন। যাদের সম্পত্তি হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং যাদের শোকজ করা হয়েছে তারা হলেন– এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তার ভাই আবদুস সামাদ, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান, ওসমান গণি, মো. রাশেদুল আলম, শহিদুল আলম, ছেলে আহসানুল আলম, স্ত্রী ফারজানা পারভীন, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের এমডি মিসকাত আহমেদ, চেয়ারম্যান ও আবদুস সামাদের স্ত্রী শাহানা বেগম, সোহেল আনোয়ার, মাহমুদুল আলম, ফজিউল আলম ও লুৎপুণ নাহার।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ এরশাদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সম্পদ হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা এবং শোকজ আদেশ দিয়েছেন বিচারক। তিনি বলেন, গত ২৯ জুন ইসলামী ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার পক্ষ থেকে ১৩ হাজার ৩১৭ কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার ৮৩১ টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষে এস আলম সুপার এডিবল অয়েল এবং শোকজপ্রাপ্ত ১৪ জনকে বিবাদী করে অর্থঋণ মামলাটি দায়ের করা হয়।