পে–অর্ডার জালিয়াতির অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের দুই ছেলেসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। তারা হলেন সাইফুল আলমের ছেলে আসাদুল আলম মাহির ও আশরাফুল আলম, কর কর্মকর্তা চট্টগ্রাম কর অঞ্চল–১ এর সাবেক উপ–কর কমিশনার আমিনুল ইসলাম, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন, মো. আমির হোসাইন, মো. আহসানুল হক, মো. রুহুল আমিন, শামীম আক্তার, মো. আনিস উদ্দিন ও গাজী মোহাম্মদ ইয়াকুব। গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম–১ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ–সহকারী পরিচালক নিজাম উদ্দিন। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি আসাদুল আলম মাহির ২০২১ সালে আয়কর রিটার্নে ২৯ জুন তারিখের পে অর্ডারের মাধ্যমে কর দেওয়ার তথ্য দেন। একই সঙ্গে ব্যাংক হিসাবে ওইদিন ২৫ কোটি টাকা জমা এবং উত্তোলন দেখানো হয়। কিন্তু দুদকের তদন্তে দেখা যায়, যে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পে অর্ডার ও হিসাব বিবরণী দাখিল করা হয়, সেই ব্যাংক হিসাবটি খোলা হয়েছে হিসাব বিবরণী ও পে অর্ডার দাখিলের আরও ৫ মাস ২০ দিন পর একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর। টাকা জমার কোনো রশিদও পাওয়া যায়নি।
পরদিন ২০ ডিসেম্বর ব্যাংকে কোনো লেনদের তথ্য পাওয়া না গেলেও সে তারিখে ব্যাংক জমার রশিদ পাওয়া গেছে। একইভাবে আশরাফুল আলমের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ২০২১ সালের ২৯ জুন পে অর্ডার ইস্যু করা হলেও ওই দিন সে হিসাবে কোনো টাকা ছিল না। পে অর্ডারের টাকা জমা দেওয়ার কোনো রশিদও পাওয়া যায়নি। এজাহারে বলা হয়, ২৯ জুন ২৫ কোটি টাকা জমা এবং লেনদের তথ্য হিসাব বিবরণীতে থাকলেও ২০ ডিসেম্বর তারিখে ব্যাংক জমার রশিদ পাওয়া গেছে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজসে আসামিরা তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করে জালিয়াতি করে ২০ ডিসেম্বরের লেনদেন পাঁচ মাস আগে ২৯ জুন দেখিয়েছেন। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম–১ এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ দৈনিক আজাদীকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
