ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পিবিআই মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানার দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবির পক্ষ থেকে কারাবন্দি বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগে গত ১৬ অক্টোবর বাবুল আক্তার, তার বাবা আব্দুল ওয়াদুদ, ভাই হাবিবুর রহমান ও প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে নগরীর খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৩ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ইলিয়াস হোসেন তার ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে ‘স্ত্রী খুন, স্বামী জেলে : খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ৪২ মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন। ওই ভিডিওতে বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে তদন্তাধীন মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়। মূলত বাবুল আক্তার, তার বাবা ও ভাইয়ের প্ররোচনায় ইলিয়াস হোসেন মিথ্যা এ প্রচারণা চালান।
আদালতসূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র এক কর্মীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রী মিতুকে খুন করিয়েছেন বাবুল আক্তার নিজেই, এমনটা উল্লেখ করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ২০৮৪ পৃষ্টার ডকেট ও ২০ পৃষ্টার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক। মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল ৬ বছর আগে যে মামলা করেছিলেন তাতেই তাকে প্রধান আসামি করে এই চার্জশিট দেয়া হয়। বাবুল ছাড়া চার্জশিটভুক্ত বাকি ৬ আসামি হলেন মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম মুসা ও খায়রুল ইসলাম কালু।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।