সারা দেশে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে। চলতি বছরের পরীক্ষার সময়সীমা ৩ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ২ ঘণ্টা করা হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, চলতি বছরের ১৯ জুন এ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিলেট বিভাগসহ ময়মনসিংহ অঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের কিছু জেলাতে বন্যার কারণে পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশের কোনো অঞ্চল আক্রান্ত হলে কেবল সে অঞ্চলের পরীক্ষা স্থগিত হবে। অন্যান্য বোর্ড বা অঞ্চলের পরীক্ষা চলমান থাকবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনা হবে ২ ঘণ্টায়। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১১ টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১ টায়। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে উপস্থিত থাকতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে হলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে ঐদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে, প্রতিবেদন দিতে হবে। এছাড়া পরীক্ষার সময় এমসিকিউ ২০ মিনিট, লিখিত বা সিকিউ ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এড়াতে পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির মোবাইলে পরীক্ষার সেট কোড পৌঁছে যাবে। তিনি স্মার্ট ফোন নয়, ফিচার ফোন সাথে রাখতে পারবেন। তিনি ছাড়া আর কেউ মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না।
মন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে।
চলতি বছরে নয়টি সাধারণ বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ২৯ হাজার ৫৯১টি প্রতিষ্ঠানে মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন, দাখিল পরীক্ষায় ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন এবং এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ জন অংশ নেবে।