বছরের মাঝামাঝি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তারের কারণে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্বেগের বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির কাছে তুলে ধরে ২০২২ সালের পরীক্ষা হবে কিনা জানতে চাইলে উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ বাড়লেও এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি ও টিকা কার্যক্রমে জোর দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখা হবে। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
তিনি বলেন, এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করব না। টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করব। স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মনিটরিং জোরদার করব। সীমিত পরিসরে যেভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলছে, সেভাবেই চলবে। পরামর্শক কমিটির সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করব। বন্ধ করার প্রয়োজন হলে বন্ধ করে দেব। তবে আমরা মনে করছি, টিকা দেওয়া গেলে তার প্রয়োজন হবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই নতুন বছর ২০২২ সালেও পাবলিক পরীক্ষা আমরা নিতে চাই। সময় মত হবে না এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ শিক্ষার্থীরা সেভাবে ক্লাস করতে পারেনি। আমরা একটা আভাস দিয়েছি যে, হয়ত বছরের মাঝামাঝি, আমাদের এখনও চিন্তা তাই। হয়তো ক্লাস করিয়ে বছরের মাঝামাঝি সময়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নিতে পারব। এখনও সিদ্ধান্ত সে জায়গায় আছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট তারিখ দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে দীপু মনি বলেন, আমরা পর্যবেক্ষণ করতে থাকব এবং ক্লাস করাতে থাকব। যখন নেওয়ার মত পরিস্থিতি হবে, তখন আমরা পরীক্ষাটা নেব। আশা করি পরীক্ষা নেওয়ার দুই থেকে তিন মাস আগে বলতে পারব, কোন তারিখে পরীক্ষা হচ্ছে। সদিচ্ছা যতই থাকুক, এটাতো আমাদের হাতে নেই।