রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যার কারনে একাধিক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করলেও এশিয়া কাপের মত বড় আসর আয়োজন করতে পারছেনা শ্রীলংকা। এরই মধ্যে গত বুধবার এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এসিসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কথা জানিয়ে দিয়েছে লংকান ক্রিকেট বোর্ড। পাশাপাশি শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে আগ্রহী। অবশ্য লংকান বোর্ড আরও একটি বিকল্প প্রস্তাবও দিয়ে রেখেছে। তাহলো সংযুক্ত আরব আমিরাতই শেষ কথা নয়। ভারতের পাশে অন্য কোনো দেশেও এশিয়া কাপ হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা অনেক বেশি বলে ভাবা হচ্ছে। তবে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন জানিয়েছেন প্রথমত আমরা এখন পর্যন্ত বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না। এসিসি কিংবা লংকান ক্রিকেট বোর্ড থেকে আমরা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানতে পারিনি। যেহেতু আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি অবগত হইনি এখনও, তাই এ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য বা বিবৃতি দেয়াও সমীচীন নয়।
বিসিবি সিইও বলেন সত্যিই শ্রীলংকা যদি তাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এশিয়া কাপের আয়োজক হতে অপারগতা প্রকাশ করে, তাহলে বিষয়টি নিয়ে এশিয়ার সব ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে বসে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। কেবল তখনই আমাদের চিন্তাভাবনা বা বক্তব্য দেওয়ার অবকাশ থাকবে। এখন কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করাই উত্তম।
বাংলাদেশ এশিয়া কাপ আয়োজনে আগ্রহী কিনা জানতে চাইলে বিসিবি সিইও বলেন এশিয়ায় তো আরও ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ আছে। তারাও নিশ্চয়ই আয়োজক হতে চাইবে। দেখা যাক এসিসি কি বলে। ২০১২ থেকে পর পর তিনবারের এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ । আর বেশ সাফল্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সুনামও কুড়িয়েছিল। আরও একবার সেই সুযোগ আসলে লুফে নিতে পারে বিসিবি। কেননা এশিয়া কাপের আসর বাংলাদেশে হলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি স্বাগতিক হিসেবে টাইগাররাও বাড়তি সুবিধা পাবে।