এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ কথার লড়াই যেন থামছেই না

স্পোর্টস ডেস্ক | মঙ্গলবার , ২৯ জুলাই, ২০২৫ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

এশিয়া কাপে ভারতপাকিস্তান ম্যাচ আয়োজন নিয়ে যখন রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে, ঠিক তখনই এই ঐতিহাসিক লড়াইয়ের পক্ষে সুর চড়ালেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক এবং বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)-এর সাবেক সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাঙ্গুলি বলেন আমি এতে ঠিক আছি। খেলা চলতেই হবে। একই সঙ্গে পাহেলগাম বা এরকম ঘটনা যেন না ঘটে। সন্ত্রাসবাদ কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। ভারত সবসময় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু খেলাধুলা চলতে দিতেই হবে। ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ টিটোয়েন্টি আসর শুরু হবে ৯ সেপ্টেম্বর। ফাইনাল হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। যদিও আয়োজক ভারত, তবে ভারত ও পাকিস্তানের সমঝোতায় টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। যেখানে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা। এই টুর্নামেন্টে অন্তত দুটি ভারতপাকিস্তান ম্যাচ নিশ্চিত। একটি গ্রুপ পর্বে আর অপরটি সুপার ফোরে। উভয় দল ফাইনালে উঠলে আরও একটি হাইভোল্টেজ ম্যাচ দেখা যাবে। এশিয়া কাপের এই সিদ্ধান্ত এসেছে এমন এক সময়, যখন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডসএর এক ম্যাচে ভারতীয় কিংবদন্তিদের একটি অংশ পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ম্যাচটি বাতিল করে দেয়। সেই প্রসঙ্গে ভারতের সাবেক ওপেনার শিখর ধাওয়ান বলেন যে সিদ্ধান্ত আমি ১১ মে নিয়েছিলাম আজও তাতে অটল। আমার দেশই আমার সবকিছু। দেশের চেয়ে বড় কিছু নেই।

এদিকে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) সূত্র বলছে, ঢাকায় সমপ্রতি অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)-এর পক্ষ থেকে সম্মতি দেওয়া হয়েছে পুরো টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের। এমনকি পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচও নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত এখন আর বদলানোর সুযোগ নেই। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলেছে ভারত এখন আর এশিয়া কাপ বা পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে সরে আসতে পারে না। বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু ভারতই এবারের আয়োজক তাই এখন কিছুই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এদিকে এশিয়া কাপের সুচি নিশ্চিত হওয়ার পর ভারতের অভ্যন্তরে কিছু গণমাধ্যম ও সাবেক ক্রিকেটাররা বিসিসিআইকে কঠোর সমালোচনা করছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে তারা ম্যাচ বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে বিসিসিআই থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি যে তারা ম্যাচ বয়কট করবে। বরং বোর্ডের ভেতরে আলোচনার ভিত্তিতেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এশিয়া কাপের এবারের আসরটি ২০২৬ টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। যেটি ভারত ও শ্রীলঙ্কা যৌথভাবে আয়োজন করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালী পূর্ব পুইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধনারী ফুটবলে আবারও ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড