এশিয়ার লৌহমানবী অভিধায় শেখ হাসিনা

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ৩ জুন, ২০২৩ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

মুক্তির মহানায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান স্বাধীনসার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে অত্যাচারঅনাচারনীপিড়ননির্যাতনজেলজুলুম ইত্যাদির ভয়াবহ অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী আদর্শিক চেতনায় যথার্র্থ ঋদ্ধ শেখ হাসিনা নৈতিকতাদেশপ্রেম এবং দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধাভালোবাসার অবিচল বহিঃপ্রকাশে সামরিক ও স্বৈর শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের পদযাত্রাকে সমুন্নত করেছেন। জাতির পিতার লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠাকল্পে তিনি যে রাজনৈতিক যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন; স্বৈরাচার পতনের মধ্যে দিয়ে তাঁর সে নির্ভীকনির্ভয়দুর্জয় ও দূরদর্শী নেতৃত্বের সফল প্রতিষ্ঠা বাংলার মানুষের কাছে অপূর্ব এক নতুন স্বপ্ন জাগানিয়ার মূর্ত প্রতীক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরেণ্যনন্দিত সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বিশ্বপরিমন্ডলে অনবদ্য উঁচুমাত্রিকতায় বিপুলভাবে সমাদৃত।

উন্নয়নের সকল সূচকে ঈর্ষণীয় অর্জনের গৌরবগাঁথায় বিস্ময়কর ও অভাবনীয় অগ্রগতির স্মারক এবং বাঙালির গভীরতম শ্রদ্ধাভালোবাসার প্রাণপ্রিয় নেত্রী আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দেশে নয়, বিশ্বে উন্নয়ন রোল মডেলের পথিকৃৎরূপে আবির্ভূত। দেশের আপামর জনগণের পক্ষ থেকে ‘বঙ্গবন্ধুর’ আলোকছায়ায় তিনি ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা’ ও ‘জননেত্রী’ উপাধিতে ভূষিত হন। বিশ্বশান্তির অগ্রদূত শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িকমানবিকগণতান্ত্রিক সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি সমৃদ্ধির পথে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশআন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক বিপুল সংখ্যক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাছাড়াও দেশেবিদেশের অনেক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

অতিসম্প্রতি প্রভাবশালী ব্রিটিশ সাময়িক দ্য ইকোনমিস্ট এক সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রতিবেদনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এশিয়ার লৌহমানবী (আয়রন লেডি) বিশেষণে আখ্যা দিয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকা নারী সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। এমনকি নারী ও পুরুষ সরকার প্রধানদের মধ্যেও তিনি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যদের একজন। প্রায় দুই দশক ক্ষমতায় থাকা বাংলাদেশের এ সরকার প্রধান ১৭ কোটি মানুষের দেশের দারিদ্র্য বিমোচনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার ক্ষমতার মেয়াদের বেশিরভাগ সময়ে দেশের গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধির ৭ শতাংশ রয়েছে। ৭৫ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী তার দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে মোট চারবার ক্ষমতাসীন হয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে তার নেতৃত্বেই পরপর তিনটি নির্বাচনে জয়লাভ করেছে দলটি যা শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বা মার্গারেট থ্যাচারের ক্ষমতার তুলনায় অসাধারণ। আগামী বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ঐ নির্বাচনেও তিনি জয়ী হবে বলে আশা করছেন। উক্ত প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে এক সাহসিকতার গল্প হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্ববাসীসহ দেশের আপামর জনগণ সম্যক অবগত আছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সভ্যতার ইতিহাসে নিকৃষ্টকলঙ্কজনক এই দিনে দানবরূপী হিংস্র ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুবঙ্গমাতাসহ পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকে বর্বরনৃশংসভাবে হত্যা করে। পরবর্তীতে পরাজিত অন্ধকারের অশুভ অপশক্তি অতি সূক্ষ্ণ চতুরতায় দেশকে পুনরায় পাকিস্তানে রূপান্তরিত করার সকল অপকৌশল অবলম্বনে দেশব্যাপী অরাজকনিষ্ঠুর সামগ্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়। সে সময় দলীয় নেতাকর্মীসহ সিংহভাগ জনগোষ্ঠী জেলজুলুমনির্যাতননিপীড়নের অপরিমেয় দুর্ভোগের শিকার হয়েছিলেন। বরাজিত সকল অসঙ্গতিবিভ্রান্তিঅন্ধকারের শক্তির সকল কদর্য পরিকল্পনাকে নসাৎ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা পুনরুদ্ধার সংকল্পের কঠিন ব্রতে দেশে ফিরার সিন্ধান্ত গ্রহণ করেন। দীর্ঘ প্রায় ছয় বছরের চরম কষ্টের নির্বাসিত জীবনযাপন শেষে দেশ ও দলের কঠিন দুঃসময়ে সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞাকে অবজ্ঞা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে অকুতোভয় সংগ্রামী রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার আদায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বৈরসামরিক সরকারবিরোধী গণআন্দোলন গড়ে তোলেন।

জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯০ সালের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে স্বৈরচারী সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করেছিলেন। তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ২৩ জুন সরকার গঠনের পর জাতির জনকের হত্যার বিচারদাবি এবং ঐতিহাসিক এই বিচারিক রায়ের কার্যকর বাস্তবায়নের মতো অবিনস্বর কার্যক্রমের জন্য তিনি চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন। মহান জাতীয় সংসদে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলকরণ ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন তাঁর উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছেবাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অমীমাংসিত আন্তর্জাতিক গঙ্গা পানিবন্টন চুক্তি সম্পাদন, পার্বত্য চট্টগ্রামে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধে সরকার এবং জনসংহতি সমিতির মধ্যে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি ও ২১ ফেব্রুয়ারিকে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতিসহ দেশ ও জনকল্যাণমূলক অনেক কর্মযজ্ঞের সফল ও সার্থক বাস্তবায়ন।

২০০৯ সালে পুনরায় নির্বাচিত দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দক্ষ সরকার দুর্নীতিকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং সকলক্ষেত্রে সততা, সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অবস্থান সুদৃঢ় করতে পেরেছিলেন বলেই ২০১৭ সাল নভেম্বর মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের ১৭৩টি দেশের সরকার প্রধানদের মধ্যে সততার জন্য বিশ্ব শীর্ষ পাঁচটি আসনের মধ্যে নিজেকে তৃতীয় স্থানে অধিষ্ঠিত করেছেন। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক ও অপকর্মঅপরাধের সাথে সম্পৃক্ত নিজ দল, দলের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগসহ আপন আত্নীয় স্বজন হলেও কাউকেও ছাড় না দেওয়ার ঘোষণায় দেশের সকল সচেতনসাধারণ মানুষের অকুন্ঠ সমর্থন ও আকাশচুম্বী প্রশংসায় নেত্রী নন্দিত হয়েছেন। সম্ভাষিত নতুন পালকে অবিসংবাদিত মুকুটে শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বনন্দিত ও বরেণ্য সফল রাষ্ট্রনায়কের উপমা তৈরিতে সক্ষম হয়েছেন। বিশ্বে ধরিত্রীসমুদ্রসীমান্তমঙ্গামহাকাশপরিবেশ বিজয়ে সফল ও সার্থক রূপায়ন তাঁর নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে।

ধারাবাহিকভাবে দেশ পরিচালনায় দেশের পররাষ্ট্রনীতিকে নতুন উচুমাত্রিকতায় সমাসীন করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষাসহ বিভিন্ন নীতির আলোকবর্তিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। স্বীয় ও রাষ্ট্রের উচুমার্গের খ্যাতিকে সুদৃঢ় করার এবং জনগণের প্রত্যাশিত আস্থা ও বিশ্বাস অটুট রাখার স্বার্থেই দূরূহ কিছু সিদ্ধান্তের দৃশ্যমান বাস্তবায়ন বস্তুতপক্ষে তাঁর ধীশক্তির বিকাশ ও বিস্তার প্রাগ্র্রসর চিন্তাচেতনার পরিচায়ক। তিনি অনেক ভাষণে যে বিষয়টি দাবী করেছেন – ‘সত্যের জয় অনিবার্য ’ এবং ‘সততার জয়ও অবশ্যই অনিবার্য’ তথা বলিষ্ঠচিত্তে নির্ভীক স্বাধীনসত্তায় আত্মপ্রত্যয়ী এ মহীয়সী নেত্রী তথাকথিত উন্নত বিশ্বের শাসক ও শোষকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু ও অপপ্রচারণা এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সকল অশুভ চক্রান্তপ্ররোচনাকে উপেক্ষা করে ইতিমধ্যে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে প্রতিস্থাপন করেছেন। বিশ্বব্যাংকের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র এবং পদ্মাসেতু নির্মাণে মিথ্যা নাটকের অবসান ঘটিয়ে ‘আমরাও পারি’ ব্রত গ্রহণ করে পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান অবয়বে অবিস্মরণীয় এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এতসব অতুলনীয় সাফল্যগাথা গুটিকয়েক সন্ত্রাসীজঙ্গীঅন্ধকারের পরাজিত শক্তির দোসরদের অনুসারী কদর্য ব্যক্তিসংস্থাদেশ কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। গণতন্ত্রমানবাধিকারের অযাচিতঅনভিপ্রেত অভিযোগসহ তাঁরসরকারের বিরুদ্ধে নানামুখী চক্রান্তষড়যন্ত্রমিথ্যাচারঅপপ্রচার চালানো অব্যাহত রয়েছে। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রথম আক্রমণের মধ্য দিয়ে অন্তত ২১ বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে অবিরত তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেটে পরিণত। সমকালীন রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির মোড়কে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার দেশিবিদেশি হীন উদ্যোগ অধিকতর অনুভূত। নষ্ট চরিত্রের চক্রান্তকারীরা বহুবিধ অপকৌশলে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা কার্যকরে ন্যূনতম পিছপা হচ্ছে না। প্রাসঙ্গিকতায় ১০ এপ্রিল ২০২৩ মহান জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে ১৪৭ বিধির সাধারণ প্রস্তাব ও সমাপনী বক্ত্যব্যে নির্ভীক সাহসিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ক্ষমতাধর একটি রাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘তারা চাইলে যে কোনো দেশের ক্ষমতা ওলটাতে পাল্টাতে পারে। গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে তারা এখানে এমন একটা সরকার আনতে চাচ্ছে, এতে করে গণতন্ত্রের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। আর এক্ষেত্রে আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবী, সামান্য কিছু পয়সার লোভে এদের তাঁবেদারি ও পদলেহন করে। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, আবার দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষ হয়েই তারা ওকালতি করে যাচ্ছে।’

জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে সর্বোচ্চ বলীয়ান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্র সংহার করে অদম্য অগ্রগতিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথে সকল কদর্য অন্তরায়বাধা বিপত্তি উৎপাঁটন করে চলছেন। ‘সভ্যতার সংকট’ শীর্ষক লেখনীতে বিশ্বকবি রবীঠাকুরের উচ্চারিত অমীয়বাণী ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ’ মানবতাবাদী জীবনদর্শন ছিল অফুরন্ত অনুপ্রেরণার প্রায়োগিক দিক নির্দেশনা। এই পরম সত্যকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ওপর আস্থা রেখে যেমন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, দেশবাসীও একইভাবে শতভাগ আস্থা ও বিশ্বাসের কাঠিন্যে দেশজনগণের স্বার্থে সকল কর্মকান্ডে সমর্থন যুগিয়ে এশিয়ার লৌহমানবী হিসেবে তাঁর এই অর্জনকে অটুটঅক্ষুণ্ন রাখবেননিঃসন্দেহে এই প্রত্যাশাটুকু ব্যক্ত করা মোটেও অমূলক নয়।

লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধঅফিসে এসে দৈনিক ৬ ঘণ্টা কাটে বাথরুমে! চাকরি হারিয়ে আদালতের দ্বারস্থ কর্মী