এশিয়ান গেমস ফুটবলে বাংলাদেশকে টিকে থাকতে হলে ভারতের বিপক্ষে পয়েন্ট নেওয়া জরুরি ছিল। সেই লক্ষ্যে বেশ ভালোভাবেই লড়াই করেছিল লাল–সবুজ জার্সিধারীরা। পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করলেও এক পেনাল্টিতে সর্বনাশ হয় বাংলাদেশের। ম্যাচের শেষ দিকে এসে সুনীল ছেত্রীর গোলে ভারতের কাছে ১–০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে প্রি–কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন জিইয়ে রাখল ভারত। গ্রুপের শেষ ম্যাচে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন সুনীল ছেত্রীর দল। আগের ম্যাচে চীনের কাছে ১–৫ গোলে হারায় চাপ ছিল ভারতের। সেটা বোঝা যাচ্ছিল ভারতের খেলায়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ আক্রমণ তুলে আনতে সমস্যা হচ্ছিল সুনীলদের। গতিতে মাঝে মাঝে ভারতের ফুটবলারদের টেক্কা দিচ্ছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। কিন্তু দু’দলই গোলের সামনে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছিল। ফলে গোল আসছিল না। ম্যাচের ২৮ মিনিটে ফাহিমের দুর্বল গড়ানো শট ভারতীয় গোলকিপার তালুবন্দী করেন। এরপর রবিউলের শট গোলের ঠিকানা খুজে পায়নি। এর আগে ভারত কয়েকবার চেষ্টা করে বাংলাদেশের বঙে ঢুকেও গোলকিপার মিতুল মার্মার পরীক্ষা নিতে পারেনি। বিরতির পর বাংলাদেশ গোলের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করতে থাকে। তবে পারেনি লক্ষ্যভেদ করতে। ৬৪ মিনিটে ভারতের একটি ফ্রি কিক পোস্টে লেগে ফিরে আসে। খেলার ৭৬ মিনিটে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারতো। মজিবর রহমান জনি এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে গোলকিপারের গায়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। ম্যাচ যখন পয়েন্ট ভাগাভাগির দিকে যাচ্ছিল সেই সময় ভারত গোল পায়। ৮২ মিনিটে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারী। নিজেদের ডি বঙে রহমত বলে পা চালাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে আঘাত হানেন। রেফারি স্পটকিকের নির্দেশ দিলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ করলেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়নি। সুনীল ছেত্রী স্পটকিক থেকে বল পাঠিয়ে দেন জালে। যদিও বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে গোলকিপার মিতুল মার্মা অল্পের জন্য নাগাল পাননি। বাকি সময়ে বাংলাদেশ চেষ্টা করেও পারেনি গোল শোধ দিতে। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মায়ানমারের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ আত্মঘাতি গোলে।