এলাহাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উৎসব

| বৃহস্পতিবার , ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ

শিশুকিশোরদের ফাগুনের আগুন জড়ানো গান, নৃত্য আর রঙবেরঙের সাজসজ্জার আলোয় যেন ভরে উঠেছে চন্দনাইশস্থ এলাহাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ। বিশাল প্যান্ডেল আর মঞ্চে অতিথি, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং অধ্যয়নরত শিশুকিশোর শিক্ষার্থীদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলা বোর্ডের অধীনে প্রতিষ্ঠিত এলাহাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গতকাল বুধবার শতবছর পূর্ণ করেছে।

১৯২৫ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি গত একশো বছরে জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম, সাবেক রাষ্ট্রদূত, মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মুনসেফ আলী মাস্টার, হুমায়ুন কবির চৌধুরী, আফজল আলী কন্ট্রাক্টর, রফিক আহমদ চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার খালেদের মত হাজারো দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে শিক্ষার আলো প্রজ্জলিত করেছে। ঐতিহ্যের শিকড়ে বাঁধা বিদ্যালয়টির শতবর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে গতকাল সকালে বিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করে আলোচনা সভা, সদ্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিদায় ও প্রাক্তন কৃতী শিক্ষার্থীদের সন্মাননা এবং সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

চন্দনাইশ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কবির আহমদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ডিপ্লোমেসি চাকমা। উদ্বোধক ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক অতি. প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরী, প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক শিক্ষার্থী, অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল। বিদ্যালয়ের এড হক কমিটির দাতা সদস্য বেলাল চৌধুরী ও লোকমান গণীর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাহেলা আক্তার।

এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভেটরনারি ইউনিভার্সিটির হিসাব ও নিরীক্ষণ শাখার পরিচালক আবুল কালাম, ইউপি সদস্য সহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে দুজন সদ্য বিদায়ী শিক্ষককে বিপুল সংবর্ধনার মাধ্যমে বিদায় জানানো হয়। তারা হলেনসুখতোষ সিংহ ও কাজী মো. এনায়েত উল্লাহ। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন পরিদর্শনে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চার বিকল্প নেই