চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের বাসস্টেশনের শ্রীমাই এলাকায় মহাসড়কের পাশ ঘেঁষেই গড়ে তোলা হয়েছে পটিয়া পৌরসভার বিশাল ময়লার ভাগাড়। অঘোষিত এ ময়লার ভাগাড়ের ফলে একদিকে যেমন মারাত্মক দুর্গন্ধে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠছে, অন্যদিকে প্রতিনিয়ত এ ভাগাড়ে আগুন দিয়ে ময়লা পুড়ানোর ফলে ধোঁয়ায় আশপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনই পৌরসভার এ ময়লার ভাগাড়ে দিনেরাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এতে বিশাল কুন্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া বের হয়। এর ফলে সড়কের পাশে ও আশপাশের এলাকা অন্ধকার হয়ে পড়ে। আশপাশের অনেক গাছ–গাছালিও মরে যাচ্ছে আগুন ও ধোঁয়ার কারণে। এর ফলে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী ছাড়াও মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করা যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। জানা গেছে, পটিয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড থেকে প্রতিদিন কয়েকশত টন ময়লা আহরণ করা হয়। এসব ময়লার অধিকাংশ বর্তমানে ফেলা হয় মহাসড়কের শ্রীমাই এলাকায়। এখানে মহাসড়কের পাশে এভাবে ময়লা ফেলার প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয়রা অনেকবার মানববন্ধনও করে। পৌরসভা এখনো পর্যন্ত জনবসতিপূর্ণ এলাকার বাইরে গিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ডাম্পিং স্টেশন বা ময়লার ভাগাড় তৈরি করতে পারেনি। এতে স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মহিউদ্দীন জানান, ময়লার ভাগাড়ের আগুন ও ধোঁয়ার কারণে মানুষ শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব দেখেও প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে। প্রথম শ্রেণির একটি পৌরসভার মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে এভাবে ময়লার ভাগাড় বানানো খুবই নিন্দনীয় কাজ বলে মনে করি। সহসা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে তা সমাধানে এগিয়ে আসা উচিত সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক ফারহানুর রহমান বলেন, পৌরসভার ময়লার সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। সমস্যা সমাধানে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে আসছি। নানা জটিলতার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে আশা করি অচিরেই সমাধান হবে। প্রসঙ্গত, পৌরসভার বিগত মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ ও আইয়ুব বাবুল বারবার চেষ্টা করেও পৌরসভার জন্য ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করতে ব্যর্থ হন। আইয়ুব বাবুল উপজেলার হাইদগাঁও, ভাটিখাইন ও সুচক্রদন্ডী এলাকায় পৌরসভার ময়লা ফেলা নিয়ে বাঁধার সম্মুখীন হন। পরে পৌর কর্তৃপক্ষ ময়লা নিয়ে মারাত্মক বেকায়দায় পড়েন। এরপর থেকেই মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে শ্রীমাই এলাকায় নিয়মিত ময়লা ফেলে আসছে পৌর কর্তৃপক্ষ।