আজাদী : আবার নির্বাচিত হলে এলাকাবাসীর জন্য কী করবেন?
মো. সাহেদ ইকবাল : আমি গত মেয়াদে ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর থাকাকালে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছিল আমাদের এ ওয়ার্ড। কিন্তু আমার আগের মেয়াদে এ ওয়ার্ড বরাদ্দ পেয়েছিল সাড়ে তিন কোটি টাকা। আমার মেয়াদকালে ১৬০টিরও বেশি রাস্তা তৈরি হয়েছে এলাকায়। আমি আরও ১৭০টি রাস্তার তালিকা দিয়ে এসেছি, যেগুলো একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সেগুলো তৈরি হলে এলাকার চেহারা পাল্টে যাবে।
আজাদী : এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস ও জুয়া দমনে আপনার ভূমিকা কী ছিল?
সাহেদ ইকবাল : এ ওয়ার্ডে সন্ত্রাস দমন ও জুয়ার আসর বন্ধে আমি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছি। একদিন এক নারী আমাকে জানান, তার স্বামী জুয়া খেলার সাথে জড়িত থাকার কারণে তার সংসার ভেঙে গেছে। তখন আমি মনে করেছিলাম এটি বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা। পরে আরেক নারী একই ধরনের অভিযোগ নিয়ে আসার পর আমি বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিলাম। বাংলাবাজার গিয়ে দেখি সেখানে ক্যারম বোর্ড, ছক্কা, তাসসহ বিভিন্ন মাধ্যমে জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। সেখানে নিম্নবিত্তের অসংখ্য মানুষ জুয়া খেলে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। তখন প্রশাসনের সহযোগিতায় সেটা বন্ধ করেছি। ফলে হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। কিছুদিন আগেও এলাকায় গাঁজার গাছ ধ্বংস করেছি। আবার নির্বাচিত হলে সন্ত্রাসী, ধর্ষক, জুয়াড়িসহ সব অপরাধীর বিরুদ্ধে আমার উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
জলাবদ্ধতা দূরীকরণে আপনার পরিকল্পনা কী?
সাহেদ ইকবাল : আমাদের ওয়ার্ডটি মূলত কুলগাঁও ও নাসিরাবাদ এ দুই অঞ্চলে বিভক্ত। আমি লক্ষ্য করেছি, কুলগাঁওতে ক্যান্টনমেন্টের সাথে রেললাইনের পশ্চিম পাশ থেকে পানি এসে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। এখানে যদি একটি খাল খনন করা যায় তাহলে কুলগাঁওবাসী আর জলাবদ্ধতার শিকার হবে না। এছাড়া রেললাইনের পাশে একটি বাইপাস রোডের পরিকল্পনা একনেকে দিয়েছি, যেটা বাস্তবায়িত হলে অঙিজেন মোড়ে যানজট অনেকাংশে কমে যাবে। সেই সাথে অঙিজেনের মোড়ে একটি ওভারপাস করারও পরিকল্পনা আছে।
আপনার এলাকায় পাহাড় কাটা এবং ভেজাল খাবারের কারখানার ব্যাপারে আপনার পদক্ষেপ কী ছিল?
সাহেদ ইকবাল : আমার এলাকায় পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করা একটি বড় সমস্যা। আমি যখনই পাহাড় কাটার কোনো খবর পেয়েছি তখনই পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে আমি মনে করি, তাদের বিরুদ্ধে জরিমানাটা আরো বেশি হওয়া উচিত, যাতে তারা ভবিষ্যতে পাহাড় কাটতে সাহস না পায়। আপনারা জানেন, এলাকায় একটি ভেজাল ঘিয়ের কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছি।
ওয়ার্ড অফিসের কার্যক্রম কেমন ছিল?
সাহেদ ইকবাল : আমি ওয়ার্ড অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত রাখার চেষ্টা করেছি। জন্মনিবন্ধন সনদপত্র, জাতীয়তা সনদপত্র নেয়ার ব্যাপারে এলাকাবাসীকে আগে ভোগান্তিতে পড়তে হতো। আমি সেই বিষয়টি দূর করেছি। কোনো দুস্থ ব্যক্তি যদি ফি দিতে না পারেন তাহলে সেটা মওকুফ করারও ব্যবস্থা করেছি।
নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে আপনি কতটুকু আশাবাদী?
সাহেদ ইকবাল : গত ৫ বছর এলাকার উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। করোনাকালীন সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে সরকারি উপহার সামগ্রীর সাথে ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও এলাকাবাসীকে উপহার সামগ্রী দিয়েছি। আমার শতভাগ বিশ্বাস, এলাকাবাসী এবারও আমাকে ঝুড়ি প্রতীকে ভোট দিয়ে উন্নয়ন কাজকে এগিয়ে নিতে আমার পাশে থাকবেন।