পোশাক শিল্পের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্র্তৃপক্ষের পরিচালকের (পরিবহন) সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নেতারা। গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় বিজিএমইএ নেতারা এলসিএল পণ্য চালান দ্রুত খালাসের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিজিএমইএর সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎপাদন চালু রেখে যথাসময়ে রপ্তানি সম্পন্ন করায় বর্তমানে বিদেশী ক্রেতারা রপ্তানি আদেশ বাড়িয়ে দিয়েছেন। রপ্তানি আদেশসমূহ যথা সময়ে বাস্তবায়নে আমদানিকৃত পণ্য চালান বিশেষ করে এলসিএল পণ্য চালান দ্রুত খালাস করা জরুরি। বর্তমানে এলসিএল পণ্য আমদানি বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বন্দরের অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বিভিন্ন জটিলতায় প্রচুর সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। ফলে রপ্তানিতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম বলেন, চলমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও বিভিন্ন অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সার্বক্ষণিক ভাবে চালু রেখেছে। বর্তমানে এলসিএল পণ্যবাহী চালান বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে নির্ধারিত সিএফএস শেড সমূহে স্থান সংকুলান না হওয়ায় আরো ২টি সিএফএস শেড বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি আমদানীকৃত এলসিএল পণ্য চালান সমূহ দ্রুত ডেলিভারী নেওয়ার লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বিজিএমইএ’র নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।