এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধের ঘটনায় খসরুর নিন্দা

নগর বিএনপির বিক্ষোভ

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৬ নভেম্বর, ২০২৫ at ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ

গণসংযোগকালে চট্টগ্রাম৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ ধরনের ঘটনার মধ্য দিয়ে কেউ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে কীনা তার জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি করছে বলেও জানান তিনি। গতকাল বুধবার দৈনিক আজাদীকে এসব কথা বলেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ভবিষ্যত এ ধরনের ঘটনা এড়াতে আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুরু দায়িত্ব আছে।

তিনি বলেন, অনেকের মনে সন্দেহ জাগতে পারে, যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, দেশে বিশৃক্সখলা অবস্থা সৃষ্টি করতে চায় তারা নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে কীনা। নির্বাচনী কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য করা হচ্ছে কীনা, কিংবা অস্থিরতা সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার মিশনে কেউ আছে কীনাএটাও জনমনে সন্দেহ আসতে পারে। সুতরাং এ ব্যাপারে আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরো বেশি সজাগ থাকতে হবে।

বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল : এরশাদ উল্লাহ নির্বাচনী গণসংযোগকালে গুলি করার ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে নগর বিএনপি। গতকাল সন্ধ্যায় মিছিলটি কাজীর দেউরী মোড় থেকে শুরু হয়ে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, স্বাধীনতাবিরোধী ও জনসমর্থনহীন একটি রাজনৈতিক দলের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই বর্বর হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তারা জনগণের মাঝে ভয় সৃষ্টি করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করতে এবং নির্বাচনকে বিলম্বিত করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না। বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে থেকেই এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিটি নেতাকর্মী শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে এই সন্ত্রাসী তৎপরতার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।

তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই লড়াইয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা কখনও পিছপা হবে না। এরশাদ উল্লাহর ওপর এই হামলা আসলে জাতীয়তাবাদী শক্তির ওপর হামলা। আমরা অবিলম্বে এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম, শওকত আজম খাজা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, শিহাব উদ্দিন মুবিন, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন বুলু, সদস্য সচিব জমির উদ্দিন নাহিদ, মহানগর যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী।

সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী : এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে গুলির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। এক বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা জানান তিনি। একসঙ্গে দোষীদের আইনের আওতার আনার দাবি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগণতন্ত্র ও সংস্কার চাইলে ভোট দিতে হবে বিএনপিকেই : খসরু
পরবর্তী নিবন্ধসাগর দেখা হল না, পথেই শেষ সব আয়োজন