চট্টগ্রাম–৮ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে যে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে তা জাতীয় নির্বাচনকে বিলম্বিত করার গভীর ষড়যন্ত্র ও গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতার নির্মম বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেছেন দলটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন। তিনি বলেন, এ ধরনের হামলা কেবল একজন প্রার্থী বা দলের ওপর নয় এটি সমগ্র জাতির গণতান্ত্রিক অধিকারকে পদদলিত করার চেষ্টা।
এরশাদ উল্লাহ নির্বাচনী গণসংযোগে ‘সন্ত্রাসী হামলা’র প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। নগরের নসিমন ভবন দলীয় চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন– নগর বিএনপির সদস্য সচিব মুহাম্মদ নাজিমুর রহমান ও নগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিয়া ভোলা।
মীর হেলাল বলেন, চট্টগ্রামবাসীর জান–মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ অস্ত্রধারী, হামলাকারী সন্ত্রাসী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় চট্টগ্রামসহ সারাদেশের দেশপ্রেমিক মানুষ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। তিনি বলেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে এবং নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
সমাবেশে নগর বিএনপির সদস্য সচিব মুহাম্মদ নাজিমুর রহমান বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নির্বাচনী মাঠে হামলা–হুমকি দিয়ে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না।
নগর বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই হামলা নির্বাচনকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র, তবু আমরা ভয় পাই না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, এস এম সাইফুল ইসলাম, কাজী বেলাল উদ্দিন, শফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন।












