এরশাদের নাম বাদ দিয়ে সম্পূরক অভিযোগপত্র

মঞ্জুর হত্যা

| শনিবার , ১৬ জানুয়ারি, ২০২১ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

প্রায় চার দশক আগের মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলায় প্রধান আসামি সাবেক সেনাশাসক প্রয়াত এরশাদকে অব্যাহতি দিয়ে সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে জমা পড়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন ১২ জানুয়ারি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দিলারা আলো চন্দনার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তিন দিন আগে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা পড়লেও তথ্যটি গতকাল শুক্রবার ওই আদালতের পেশকার নূর মোহাম্মদ খান জানিয়েছেন। এরশাদ ছাড়াও মৃত্যু হওয়ায় মামলার আরেক আসামি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবদুল লতিফকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মোট পাঁচ আসামির মধ্যে এই দুজন বাকি তিন জনকেই সম্পূরক অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে। নতুন কোনো আসামিকে যুক্ত করা হয়নি। আগের বাকি তিন আসামি হলেন- অবসরপ্রাপ্ত মেজর কাজী এমদাদুল হক, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূইঞা ও অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসুর রহমান শমসের। এরা সবাই জামিনে রয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
পেশকার নূর মোহাম্মদ বলেন, এরশাদ ও লতিফের মৃত্যুর কথা তুলে ধরে সম্পূরক অভিযোগপত্রে ‘মৃত্যুজনিত কারণে দায় থেকে তাদের অব্যাহতির’ প্রার্থনা জানানো হয়। অভিযোগপত্রটির ওপর শুনানির জন্য বিচারক ২৫ জানুয়ারি দিন রেখেছেন বলে তিনি জানান। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় চট্টগ্রামে একদল সৈন্যের গুলিতে নিহত হন জিয়াউর রহমান। ওই ঘটনার পর পুলিশের হাতে আটক হন জেনারেল মঞ্জুর। পুলিশ হেফাজত থেকে ১ জুন চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নেয়ার পর তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন মঞ্জুরের ভাই। ওই বছরই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তখনকার সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ অভিযোগপত্র দেন এবং বিচার শুরু করে আদালত।
তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দসহ রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৮ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয় এ মামলায়। সাবেক সেনাপ্রধান আবু সালেহ মো. নাসিম এবং তৎকালীন মহানগর হাকিম আবুল হাসেমও ছিলেন সাক্ষীদের মধ্যে। ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আসাদুজ্জামান খান রচি রায়ের ১৩ দিন আগে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন। আবেদনের শুনানিতে তিনি বলেন, এ মামলায় সঠিকভাবে তদন্ত হয়নি। ফলে আরও অনেককে সাক্ষী করা যায়নি। প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য মামলাটি অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনৌকা ও মিষ্টি কুমড়ার পক্ষে ২৩নং ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক
পরবর্তী নিবন্ধসবুজ পাহাড়ে দুর্বৃত্তের আগুন