এম এ মালেক নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান, সকলের গর্ব

চিটাগাং সিনিয়রস্‌ ক্লাবে সংবর্ধনা

| সোমবার , ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

‘দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁর আদর, মায়া, মমতা ও ভালোবাসায় শত ফুল ফুটেছে। তাঁর একুশে পদকপ্রাপ্তিতে চট্টগ্রামবাসী ধন্য।’ চিটাগাং সিনিয়রস্‌ ক্লাব লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট আজাদী সম্পাদক এম এ মালেককে প্রদত্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ক্লাবের পক্ষ থেকে গতকাল শনিবার দেয়া মানপত্রে তাঁকে সম্মাননাসূচক নানা অভিধায় অভিষিক্ত করা হয়। মানপত্রে আরও বলা হয়, ‘ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরাচার বিরোধী লড়াই-সংগ্রামে এম এ মালেক সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে যে অনন্য অবদান রেখেছেন তা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁকে অভিবাদন ও অভিনন্দন।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত এম এ মালেক বলেন, ‘একুশে পদকপ্রাপ্তি আমার একার অর্জনই শুধু নয়, এটা চট্টগ্রামবাসীর অর্জন। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময়কালে স্বদেশীকতা বোধ থেকে চিটাগাং সিনিয়রস্‌ ক্লাব লিমিটেডের প্রতিষ্ঠা। এই ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা কিরণ চন্দ্র দে (কে.সি. দে) এবং ভূমিদাতা অন্নদা চরণ খাস্তগীরসহ সকল নিবেদিত প্রাণদের শ্রদ্ধা জানাই। আমি মনে প্রাণে কামনা করি এই প্রতিষ্ঠানটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে সমাজ, কল্যাণ, প্রগতি এবং অন্ধকার বিনাশি আলোর প্রদীপ জ্বালবে।’
সভাপতির বক্তব্যে চিটাগাং সিনিয়রস্‌ ক্লাব লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, আমরা আজ গর্বিত এম.এ মালেক একুশে পদক পেয়ে সমগ্র চট্টগ্রামবাসীকে মুগ্ধ করেছেন। তাঁকে একুশে পদক প্রদান করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি আরও বলেন, ক্লাবের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে এম এ মালেক পরামর্শক ও উপদেশক হিসেবে আগেও ছিলেন, এখনও আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। এই প্রত্যাশা করি এবং তাঁর নিরোগ দীর্ঘ জীবন ও সুস্থতা কামনা করি।
আরও বক্তব্য রাখেন, বদরুর রহিম চৌধুরী, ডা. মইনুল ইসলাম মাহ্‌মুদ, এম.আর. দে (এফসিএ), ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী, মফিজুর রহমান, ওয়ালিউল আবেদীন সাকিল, বিগ্রেডিয়ার ডা. শামীম হাসান। মেম্বার সহধর্মিণীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মিসেস কামরুন মালেক, মিসেস আবিদা সুলতানা, প্রেসিডেন্টের সহধর্মিণী জেব-উন-নেছা চৌধুরী (লিজা), মিসেস দিপ্তী লালা, মিসেস ফেরদৌস বেগম, মিসেস জিন্নাত পারভীন (শাকী), মিসেস নিবেদিতা বড়ুয়া, মিসেস পিংকি দাশ, উর্মি ব্যানার্জী।
অনুষ্ঠানে মেম্বারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মো. গোলাম মোস্তফা কাঞ্চন, রূপম কিশোর বড়ুয়া, এয়াকুব আলী মন্টু, সিরাজুল হক আনছারী, মোহাম্মদ আব্বাস, ইঞ্জিঃ মো. আবুল কাশেম, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, লিয়াকত আলী খান, চিরঞ্জীব চৌধুরী, এ.এম. শমসের তসলিম, আলহাজ্ব আবুল হোসেন, ফেরদৌস হাফিজ খান রুমু, জসিম উদ্দিন আহম্মদ, কাজী মাহ্‌মুদ ইমাম (বিলু), সালেহ্‌ আহম্মদ, ডা. মাহ্‌মুদ এ. চৌধুরী (আরজু), শেখ মোহাম্মদ ইয়াকুব, মোহাম্মদ ছগির চৌধুরী, এডভোকেট মনতোষ বড়ুয়া, গোপাল কৃষ্ণ লালা, অঞ্জন শেখর দাশ, অশেষ কুমার উকিল, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, প্রফেসর ডা. মোহাঃ রেজাউল করিম, এম. শাহাবুদ্দিন আলম, উৎপল রক্ষিত, ডা. প্রনব কুমার চৌধুরী, এস.এম. আল-মামুন, লায়ন মো. কবিরুদ্দিন ভূঁইয়া, মো. জাহাঙ্গীর খালেদ, মো. ফজলুল করিম ভূঁইয়া (টিপু), মো. সরওয়ার আলম, মোহাম্মদ খালেদ মাহ্‌মুদ, মির্জা মো. আকবর আলী চৌধুরী, মোঃ মঞ্জুর আলম (মঞ্জু), মোহাম্মদ সৈয়দ, ডা. এস.এম. টিপু সুলতান, মাসুদ পারভেজ চৌধুরী, আল-সাদাত দোভাস (সাগর) ডা. মো. শাহাদাত হোসেন, ডা. সৈয়দ মেজবাহউল হক, মোহাঃ আইয়ুব খান, মোহাম্মদ আতিক হায়দার, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, ডা. ইমরান বিন ইউনুস, দেবাশিষ পালিত, এ.কে.এম. আসাদুজ্জামান (উজ্জল), তিলক কুমার মল্লিক, সুমন দে, ইঞ্জিঃ রবীন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, মোহাম্মদ আবুল বশর চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন (ইমরান), এ.কে.এম. শামসুজ্জামান (রাসেল), মোরশেদুল কবির, অঞ্জন কান্তি বিশ্বাস, প্রদীপ কুমার দাশ, বাসুদেব সিন্‌হা, মাহাবুবুর রহমান, স্বাগত চৌধুরী, ডা. সবুজ বরণ ধর, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, মো. ইকবাল হোসেন সিকদার, মোহাম্মদ ইয়াকুব চৌধুরী, এড. ফাহিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. ওমর ফারুখ চৌধুরী, মিসেস সেতারা বেগম, মিসেস সালমা লুসি প্রমুখ।
সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর, এটিএন বাংলার মঞ্জু, ৭১ টিভির দুলাল, চ্যানেল-আই ও বিজয় টিভির সাংবাদিকবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নুরুল আফসার মজুমদার (স্বপন)। সংবর্ধনা পর্ব শেষে মঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন ঢাকা থেকে আগত সঙ্গীত শিল্পী প্রিয়াংকা বিশ্বাস। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলক্ষ্য আরও ১০ পয়েন্ট
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা