এম এ মামুন শিক্ষকতা করে তাঁর জীবনকালেই কিংবদন্তী হয়ে উঠেছিলেন। এমন নিষ্ঠাবান আদর্শ শিক্ষক একালে দুর্লভ; কিন্তু শিক্ষাবিদ হিসেবে এই খ্যাতি তাঁর অন্য কৃতিত্বকে ম্লান করে দিয়েছিলো। সেটি হলো রাজনীতি। একই বছর তিনি শিক্ষকতা ও রাজনীতি আরম্ভ করেছিলেন। সালটা ১৯৪৯–সে বছর জানুয়ারি মাসে তিনি কাট্টলী নুরুল হক হাই স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ছয়মাসের মধ্যেই ঐ স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিযুক্ত হন। আর সে বছরই এম এ আজিজ তাঁকে রাজনীতির প্রতি আকর্ষণ করেন। এমএ আজিজের সঙ্গে তাঁর একটি ভক্তি মিশ্রিত সম্পর্ক ছিলো। তাঁর আহবান উপেক্ষা করতে পারলেন না মামুন সাহেব। অতএব রাজনীতিতে তাঁর জীবনের সঙ্গে গ্রথিত করে নিলেন। ১৯৪৯ সালে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। জনাব মামুন আওয়ামী লীগের জন্মলগ্নেই সে দলে যোগ দেন। তাঁকে সীতাকুণ্ড আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা বলা যায়।
চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সভাপতি এম আর সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে যোগ দেন ১৯৬৪ সালে; সীতাকুণ্ড থানা আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ডা. এখলাছউদ্দিনও প্রায় একই সময়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। সীতাকুণ্ডে পঞ্চাশের দশকে আওয়ামী লীগ করতেন এমন কোন নাম আমরা জানতে পারিনি। একমাত্র মামুন সাহেবকেই পাচ্ছি যিনি ৪৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ করেছেন। সুতরাং তাঁকে সীতাকুণ্ডে আওয়ামী রাজনীতি প্রবর্তনের পথিকৃৎ বলা যেতে পারে।
চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এম.এ. আজিজ তাঁকে রাজনীতিতে যোগদানে অনুপ্রাণিত করেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে একজন সংগঠক হিসেবে বিশেষ অবদান রাখেন। তিনি আগরতলা হরিণা ক্যাম্পের রাজনৈতিক প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এম.এ. মামুন ১৯২৫ সালের বাংলা চৈত্র মাসে সীতাকুণ্ড উপজেলার ঘোড়ামারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা নুরুল আনোয়ার, মাতা রহমতের নূর। পিতা নুরুল আনোয়ার অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করায় বিএ পরীক্ষা দিতে পারেননি। তিনি চট্টগ্রাম পৌরসভায় চাকরি করতেন, হেড ক্লার্ক হিসেবে অবসর নেন। এম. এ. মামুনের পিতামহ মালীউল হক জাহাজের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। প্রপিতামহ মওলানা মোহাব্বত আলী। এমএ মামুনের ফুফু রওশত আকতার।
এম.এ. মামুন ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে ঘোড়ামারা প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হন। পরে এম.ই. স্কুল থেকে মধ্য ইংরেজি (ষষ্ঠ শ্রেণী) পাস করে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলে ভর্তি হন এবং এই স্কুল থেকে ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ম্যাট্রিক পাস করেন। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে আই.এ. পাস করেন এবং ১৯৪৭ সালে বি.এ. পাস করেন। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিটি পাস করেন।
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে বিএ পাসের পর লোভনীয় চাকরির প্রস্তাব পেলেও কাট্টলী স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জামানের উৎসাহে পেশা হিসেবে বেছে নেন অল্প বেতনের শিক্ষকতাকে। শিক্ষকতায় প্রথম আসেন ১৯৪৭ এর দিকে। শিক্ষকতার প্রথম ক্ষেত্র ছিলো কাট্টলী নুরুল হক চৌধুরী হাই স্কুল। তিনি ছিলেন ইংরেজি শিক্ষক। সে স্কুলে সহকারী শিক্ষক থেকে ৬ মাসের মধ্যেই সহকারী প্রধান শিক্ষকও হয়েছিলেন। ১৯৫২–৫৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি নুরুল হক চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছিলেন। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএসসি পাস করেন প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করে। সেবছরের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি কাটিরহাট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ঐ স্কুলে তিনি ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর যোগদান করেন কুমিরা মসজিদ্দা হাই স্কুলে।
১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে মছজিদ্দা নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলে যোগ দিয়ে ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে ঐ স্কুলকে মাধ্যমিক স্কুলে উন্নীত করেন। ১৯৬০–১৯৮২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ঐ স্কুলের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে তিনি মছজিদ্দা হাইস্কুল, মছজিদ্দা বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়, লতিফা সিদ্দিকী বালিকা বিদ্যালয়, লতিফা সিদ্দিকী গার্লস কলেজ– এই চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে মছজিদ্দা হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা থেকে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে এম.এ. মামুন আপন সন্তানের মত পরম যত্নে গড়ে তোলেন এবং এটিকে দেশের একটি আদর্শ স্কুল হিসেবে রূপান্তরিত করেন। একসময় মছজিদ্দা স্কুল এবং এম.এ. মামুন সমার্থক হয়ে দাঁড়ায়। শৃঙ্খলার জন্য এ স্কুল বেশ সুনাম অর্জন করে। বিশেষ করে ধনীরা তাদের বখে যাওয়া ছেলেদের শাসনে আনার জন্য মছজিদ্দা স্কুলে পাঠাতেন এবং এ কারণে চট্টগ্রামের মানুষের কাছে এ স্কুল জেল স্কুল হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। মছজিদ্দা স্কুল প্রায় আবাসিক স্কুল। কোনো কোনো ছেলে হতো অসম্ভব দুর্দান্ত, ভীষণ রকম বেপরোয়া। এ রকম কোনো কোনো ছেলেকে শিকল বেঁধে রাখতে হতো। বহু দূর দুরান্ত থেকে পিতা বা অভিভাবকরা তাদের অবাধ্য সন্তানকে মানুষ করার জন্য মছজিদ্দা স্কুলে পাঠাতেন। এমএ মামুন দীর্ঘ ৬৫ বছর সাফল্যের সাথে শিক্ষকতা করে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে অবসর গ্রহণ করেন। যখন তিনি অবসর গ্রহণ করছেন তখন তিনি খ্যাতির চরম শিখরে। শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য চট্টগ্রাম মুসলিম হলে তাঁকে নাগরিক সংবর্ধনা জানানো হয়।
একসময় তাঁর মসজিদ্দা স্কুলকে অনেকেই বলতেন জেল স্কুল–কেন অনেকেই এ প্রশ্ন তাঁকে করেছেন, উত্তরে তিনি না বলতেন তা মোটামুটি এরকম, “আসলে আমাদের শিক্ষার প্রায়োগিক কৌশল ছিলো দিনের পড়া দিনে শেষ করা। এতে আমরা শিথিলতা প্রদর্শন করতাম না। আমরা চাইতাম একজন ছাত্র দিনে স্কুলে যা পড়েছে, যা ক্লাসে পাঠদান করা হয়েছে তা যেন রাতেই শেষ করে নেয়। আমাদের প্রায় ৩০০ জন ছাত্র আবাসিক ছিলো, তাদেরকে রাতেই স্কুলের পাঠ শেষ করে তারপর ছাড়তাম। আর যারা অনাবাসিক তারাও কিন্তু আমাদের কঠোর ও কড়া দৃষ্টির সীমানায় ছিলো। আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা এমন করে ফেলেছিলাম যেন কেউ আইনের বাইরে না যেতে পারে। পড়ালেখা, আদব কায়দা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সবকিছুই একটি ছকের মধ্যে চলতো। আইনের কড়াকড়ি ছিলো, আর সে জন্যই মানুষ জেল স্কুল বলতো। তবে এই উক্তি নেতিবাচক ছিলো না।”
দেশের বিভিন্ন জেলার ছাত্ররা এখানে ভর্তি হতে আসতো। বিভিন্ন জেলায় এই মসজিদ্দা হাই স্কুলের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিলো। তাঁর সময় বিভিন্ন জেলার মানুষরা এই স্কুল এবং প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল্লাহিল মামুনকে দেখতে আসতেন। তারা স্কুলের সার্বিক পরিবেশ দেখে আকৃষ্ট হয়ে তাদের সন্তান ভর্তি করাতেন।
এ প্রসঙ্গে মামুন সাহেব বলেন, ‘আমার শিক্ষকবৃন্দ, স্কুল প্রশাসন যৌথভাবে আমাকে সাহায্য করেছেন বিদ্যালয়কে আদর্শস্থানীয় করতে। আমাদের শিক্ষা পরিকল্পনা, বিদ্যালয় পরিচালনা এবং সার্বিক শিক্ষার মান প্রয়োগ ছিলো বাস্তবতার নিরিখে। তাই সকলে প্রতিটি প্রয়োগ ও উদ্যোগকে সহযোগিতা দিতেন। শিক্ষার্থীরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশপাশি জ্ঞানে ও গুণে উন্নততর অবস্থানে ছিলো। শিক্ষক–ছাত্র সম্পর্কে ছিলো মধুর। স্কুলটিকে কেন্দ্র করে এলাকাটি সর্বমহলে পরিচিতি লাভ করে। তাছাড়া প্রতিজন শিক্ষকই ছিলেন আন্তরিক।’
এবার রাজনীতির প্রসঙ্গ। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে এম এ আজিজের আহ্বানে এমএ মামুন আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চাইছিলাম শুধু শিক্ষক হিসাবে থাকতে কিন্তু বন্ধু এম এ আজিজের কারণে পারলাম না। আওয়ামী রাজনীতির প্রতি দুর্বল হয়ে দলের সদস্য হয়ে গেলাম। শিক্ষকতার কারণে তেমন প্রকাশ্যে আসিনি। তবে ১৯৫৪ এর নির্বাচনে এম এ আজিজের পক্ষে কাজ করেছি। তখন তো রাজনীতি পরিছন্ন ছিলো, তাই তার বিরুদ্ধে পক্ষও অসম্মানের দৃষ্টিতে দেখতেন না। তখন একের প্রতি অন্যের সম্মানবোধ ছিল। প্রতিপক্ষের শ্রদ্ধা বোধ ছিল রাজনৈতিক শিষ্টাচার। তাই শিক্ষক হয়েও একজন প্রার্থীর পক্ষে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাতে পেরেছিলাম। ১৯৬২–র শিক্ষা আন্দোলনে সক্রিয় না থাকলেও নেপথ্যে সমর্থন ছিল। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে আওয়ামী লীগের পক্ষে থেকে ৬ দফা ঘোষিত হওয়ার পর ৬ দফার পক্ষে কাজ করেছি। মানুষকে যুক্তি তর্কের মাধ্যমে বুঝিয়েছি। ১৯৭০ এর নির্বাচনে এম আর সিদ্দিকী পরোক্ষভাবে আমাকে এম পি এ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইঙ্গিত করেছিলেন। কিন্তু আমি স্কুল ছেড়ে কোথাও যাব না। সে জন্য বিনয়ের সাথে সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করে অন্য একজনের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। ভেবেছিলাম রাজনৈতিক দায়বোধ যখন পালন করছি তাতেই যথেষ্ট। শিক্ষক হিসাবে সম্মানটা অনেক বেশি তাই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করিনি’।
১৯৭০ এর নির্বাচনের পর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসিতে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির হয়ে ওঠার লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছিলো। মামুন সাহেব শিক্ষক হিসাবে গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। একদিকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে গুরুদায়িত্ব পালন অন্যদিকে পাকিস্তান সরকারের অন্যায় রাজনৈতিক পদক্ষেপ। তিনি ভাবলেন কি করা যায়? এলো ১৯৭১ এর অগ্নিঝরা দিনগুলো। বাঙালিদের মুখে স্বাধীনতার গৌরবদীপ্ত স্লোগান–এমনি অবস্থায় তিনি অশনি সংকেত পেলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ততোদিনে বুঝে গেছি বাঙালি জাতি চরম সময়ের মুখোমুখি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে দিক নির্দেশনা স্পষ্ট। স্কুলে আমার তত্ত্বাবধানে প্রায় ৯০০ জন ছাত্র, তার মধ্যে হোস্টেলের ৩০০ জন। কি করতে হবে বুঝে উঠতে পারছিলাম না। বিভিন্নভাবে ছাত্র শিক্ষকদের ইঙ্গিত দিয়েদিলাম। তাই সকল ছাত্র আপন ঘরে ফিরে গেলেন। স্বাধীনতা ঘোষিত হওয়ার পর জনতা ও বীর সেনাবাহিনী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। আমি তখন সীতাকুণ্ড দক্ষিণ এবং ডা. এখলাছ উদ্দিন সীতাকুণ্ড উত্তরাংশের সংগঠন করে চলেছি। এপ্রিলের ১ম সপ্তাহে পাকবাহিনী আমাদের এলাকা দখল করে নেয়। আরো ১ মাস নিজ এলাকায় থেকে অতি গোপনে কাজ করেছি। মে মাসের প্রথম দিকে পাক বাহিনী সীতাকুণ্ড এলাকায় অবস্থান নেয়। আর থাকা সম্ভব ছিল না। পরে পায়ে হেঁটে ভারতে চলে যাই এবং হরিণা ক্যাম্পে পলিটিক্যাল মোটিভেটরের দায়িত্ব পাই। সেখানে আমি, এডভোকেট আজিজুর হক চৌধুরী, এডভোকেট রফিকুল আলম চৌধুরী এবং একজন প্রফেসর নুর মোহাম্মদ ছিলেন। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের উপর দেয়া দায়িত্ব পালন করেছি। ১৯৭১–র ১৪ ডিসেম্বর বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে সীতাকুণ্ডে প্রবেশ করি। সেদিন আমার বাড়ির উপর পাকিস্তানীদের বিমান হামলা হয়। আমার চাচাত ভাইয়ের ছেলে কাজল শহীদ হয়। আমার তিন ছেলে এ এম এম মুরাদ, এ এম এম আজাদ, এ এম এম এবং ছোট ভাই ডা. এম এ কাফি স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এম আর সিদ্দিকীর সহায়তায় ঢাকায় আমার ছেলেদের চিকিৎসা হয়। যুদ্ধ বিজয়ের পর স্কুলে যোগদান করি। স্কুলের লাইব্রেরি এবং হোস্টেল পুড়িয়ে ফেলে পাকিস্তানীরা। স্কুলটি বিল্ডিং ছিল বলে কোন রকমে বেঁচে যায়। হোস্টেল পুনঃনির্মাণ করে আবার নতুন করে গড়েছি। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে এম আর সিদ্দিকী আবারও নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব দেন। কিন্তু শিক্ষকতার মোহ ত্যাগ করতে পারিনি বলে সেই প্রস্তাব রাখা সম্ভব হয়নি।’ এম.এ. মামুনের স্ত্রী নুরুন হায়া তাঁর ফুফাতো বোন। শ্বশুর ঘোড়ামারা নিবাসী মোখলেসুর রহমান। তিনি চার পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
লেখক : সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সংস্কৃতি সংগঠক