চট্টগ্রাম একাডেমি আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যে এমরান চৌধুরী অনিবার্য এক নাম। নানা শাখায় ছিলো তাঁর বিচরণ। ছড়া, কিশোরকবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, জীবনী, গবেষণা– প্রায় সব শাখায় তিনি ছিলেন স্বচ্ছন্দ ও নিবেদিত। একজন পরিপূর্ণ শিশুসাহিত্যিক। গত ৪০ বছর ধরে শ্রম, সাধনা ও মেধার সম্মিলন ঘটিয়ে শিশুসাহিত্যের নতুন দিগন্তের সন্ধানে যে ভূমিকা নিরবচ্ছিন্নভাবে পালন করেছেন, তাঁর জন্য তিনি পেয়েছেন খ্যাতি ও পরিচিতি। শিশুতোষ ছড়া–কবিতা রচনায় তিনি যেমন অতুলনীয়, তেমনি সমাজমনস্ক ছড়া রচনাতেও তিনি নিপুণ–কারিগর। ছোটোদের মনের নানান সূক্ষ্ম ক্রিয়া–প্রতিক্রিয়াগুলো তিনি গভীরভাবে অনুধাবন করেছেন। তাদের আবেগ–অনুভূতি, আশা–আকাঙ্ক্ষা, ভাবনা–চিন্তা, কল্পনাগুলি অনুভব করেছেন অন্তর দিয়ে। তিনি তাঁর রচনার মাধ্যমে পাঠকের কাছে চিরঞ্জীব থাকবেন। গত ৬ ডিসেম্বর একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে শিক্ষাবিদ প্রফেসর রীতা দত্তের সভাপতিত্বে ও সাহিত্যিক রাশেদ রউফ–এর পরিচালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন এমরান চৌধুরীর বড় ভাই কবি অভীক ওসমান, একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক প্রাবন্ধিক নেছার আহমদ ও গল্পকার জিন্নাহ চৌধুরী, পরিচালক গল্পকার বিপুল বড়ুয়া, কথাসাহিত্যিক দীপক বড়ুয়া, লেখক এস এম আদুল আজিজ, কবি জসিম উদ্দিন খান, প্রাবন্ধিক রিটন কুমার বড়ুয়া, অধ্যাপক বাসুদের খাস্তগীর, ও অনুবাদক ফারজানা রহমান শিমু, সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি হৃদয় হাসান বাবু, কবি সনজীব বড়ুয়া, কথাসাহিত্যিক নাসের রহমান, ছড়াশিল্পী উৎপলকান্তি বড়ুয়া, জসীম মেহবুব, মিজানুর রহমান শামীম, অধ্যাপক গোফরান উদ্দীন টিটু, উপাধ্যক্ষ বশির উদ্দিন কনক, কবি আজিজ রাহমান, আবুল কালাম বেলাল, অমিত বড়ুয়া, গল্পকার সাঈদুল আরেফীন, ইফতেখার মারুফ, কবি জি.এম জহির উদ্দিন, মারজিয়া খানম সিদ্দিকা প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












