সংসদ সদস্যরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন বলে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম এবং ২০২৩ সালের চতুর্থ অধিবেশনে সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন ও আবদুল কুদ্দুসের স্মরণে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান। রেবেকা মমিন ও আবদুল কুদ্দুস দুজনই ছিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। খবর বাংলানিউজের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম একেবারে আমরা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পেরেছি। এটি সম্ভব হয়েছে আমাদের সংসদ সদস্যরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে। আজ বাংলাদেশকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশকে উন্নত করতে হবে। প্রত্যেকেই নিবেদিতপ্রাণ হয়ে যেন নিজের এলাকায় মানুষের সেবা করেন, সেটিই আমি চাই। মানুষের সেবা করার মধ্যেই সবচেয়ে বড় পাওয়া, এর চেয়ে বড় কিছু না। রাজনৈতিক নেতাদের জন্য এটিই বেশি দরকার।
প্রয়াত সংসদ সদস্যদের নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এই সংসদে ২৮ জন সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২৬ জন এবং জাতীয় পার্টির দুজন। ভেবেছিলাম সংসদের এই অধিবেশনে কোনো শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে না। কিন্তু তা হলো না। প্রয়াত রেবেকা মমিনের ছাত্র রাজনীতির সময় থেকেই আমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। তিনি আমার পত্রবন্ধু ছিলেন। তিনি আমাকে চিঠি দিতেন, আমিও দিতাম। তিনি চিঠিতে সবসময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা লিখতেন। তার সঙ্গে আমার বিশেষ বন্ধুত্ব ছিল। আমরা নিয়মিত যোগাযোগ করতাম।
তিনি বলেন, প্রয়াত আবদুল কুদ্দুস ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি অত্যন্ত সাহসী নেতা ছিলেন। আসলে এই সংসদে আমাদের বহু নেতাকে হারাতে হয়েছে। বন্ধুকে হত্যার পর আমাদের এই নেতাদের অনেকের ওপরই অকথ্য অত্যাচার হয়েছে। রেবেকা মমিন নিজের জমি গরিব মানুষের জন্য দান করে গেছেন। তিনি আমাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে জমি দিয়েছেন। আমাকে বললেন আমি জমি দিয়ে দিচ্ছি, এগুলো দিয়ে আমি কী করব।
তিনি বলেন, আমাদের ময়মনসিংহের নেতা মতিউর রহমান মারা গেলেন। আমরা যখন জোট করি, তখন জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদের জন্য তার আসনটি আমরা ছেড়ে দিই। আমি তাকে বললাম আপনার আসনটি আমাদের জোটের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। তিনি এক কথায় মেনে নিলেন।