নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিজয়ী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ‘সংবাদমাধ্যমের চাপ’ নতুন কোনো বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেছেন নোবেল শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ইয়োরগেন ওয়াতনে ফ্রিডনেস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল দেওয়ার যে ‘চাপ’ ছিল, তা নোবেল কমিটির কাজে প্রভাব ফেলেছিল কিনা, সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন ফ্রিডনেস। এবার শান্তিতে নোবেল জিতেছেন ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো। নরওয়ের নোবেল ইন্সটিটিউট গতকাল শুক্রবার অসলোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ১০৬তম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মাচাদোর নাম ঘোষণা করে। খবর বিডিনিউজের।
এবার নোবেল শান্তি পুরস্কারে আলোচনায় ট্রাম্পের নামও নানাভাবে ছিল। ট্রাম্প নিজেও ‘যুদ্ধ থামানোর’ স্বীকৃতি হিসেবে নিজেকে নোবেলের যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে দাবি করে আসছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে সাতটি যুদ্ধ থামিয়েছেন দাবি করে এর বিনিময়ে ‘সাতটি নোবেল পুরস্কার তার প্রাপ্য’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। একাধিক রাষ্ট্রপ্রধানও নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নে ট্রাম্পকে সমর্থনের ইঙ্গিত দেন। এসব বিষয় নোবেল কমিটির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল কিনা, শুক্রবার সাংবাদিকদের সেই প্রশ্নের মুখে পড়েন নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ফ্রিডনেস।জবাবে তিনি বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কারের দীর্ঘ ইতিহাসে বাছাই কমিটি নানা প্রচার–প্রচারণা সংবাদমাধ্যমের চাপের মুখোমুখি হয়ে থাকে। আর প্রতিবছরই আমরা এমন হাজার হাজার চিঠি পাই, যেখানে মানুষজন লেখেন, কেন তারা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন। ফ্রিডনেস বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত আলফ্রেড নোবেলের কাজ এবং তার ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করেই নেওয়া হয়।