এমনই কোনো এক বৈশাখে
বাংলার ঘরে ঘরে সূর্য্য প্রদীপ জ্বলে
জন্ম হয় জাতির সূর্য সন্তানের।
ওরা জন্মে জনম জনম ভর এ বীরভূমে।
মায়ের আঁচলখানা বট–হিজলের শান্ত পরশ বুনে,
কচি ঘাস, ডালপালা, কঞ্চি পল্লবে নতুন সুর শুনে।
এমনই কোনো এক দিবসে অগ্নিতাপে শুদ্ধ আমার বঙ্গভূমি,
শুদ্ধ বায়ুতে অগ্নিস্নানে শুচি হয় বঙ্গীয় ধরা, বঙ্গের সন্তানরা।
আমরা এ মাটির সন্তান
আমাদের আছে হিজল–তমাল, জারুল–পারুল,
বট–অশ্বথে ঢাকা রাঙা ধূলোর মেঠো পথ।
যে পথ মিশে গেছে কোনো রঙিন
ঝোঁপের ধারে অথবা নদীর বালুচরে।
এমনই কোনো এক বৈশাখে মাটির ব্যাংক ভেঙে
বৈশাখী মেলায় যাওয়ার সাধ জাগে বঙ্গ ললনার,
বৈশাখের রসভরা, প্রাণহরা, মধুমাখা
ফলসম্ভার শুধু বঙ্গভূমিতে মেলে।
রসের হাঁড়ি কালক্রমে গিয়ে মিশেছে
রঙিন শখের হাঁড়িতে।
রঙবাহারী হাঁড়ি, বেলোয়ারী সাতরঙা চুড়ি,
লাল–সাদা আঁচলে বঙ্গনারীর যে রুপ–গাম্ভীর্য্য,
রাঙা ললাটে আঁকা মাধুর্য্য যার তুলনা সে নিজে।
এমনই কোনো এক বৈশাখে জন্ম নিয়ে ধন্য করে
মাটিকে জাতির সূর্য্য সন্তানেরা,
তাই এই নতুন বঙ্গবর্ষে আমি বলি
‘জন্ম আমার ধন্য হল মাগো এমন করে
আকূল হয়ে আমায় তুমি ডাকো’।
তোমার তরে জন্ম আমার, বাঁচি তোমার কোলে,
তোমার স্নেহে সিক্ত আমি, বুলি তোমার বোলে।
পাখপাখালী, পাহাড়–মাটি, ঝর্ণা–নদী পথ,
সব থেমে যায় থমকে দাঁড়ায় তোমার অসম্মান,
রক্ত দিলো সন্তানেরা দিলো এনে মান,
খোঁপায় দিলো রাঙা পলাশ দ্রোহে ভরায় প্রাণ।
এমনই কোনো এক বৈশাখে জন্ম নিয়ে ধন্য মহাপ্রাণ।