টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচাইতে বেশি যে জিনিসটি প্রয়োজন তা হচ্ছে বড় শট খেলা। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সেটা পারছেননা। যদিও সমস্যাটি পুরনো। সামনে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিশ্বকাপ। আর তখনই সমস্যাটি আরও বড় হয়ে ফুটে উঠছে লিটন কুমার দাসের চোখে। তার ধারণা পাওয়ার ক্রিকেট বা শক্তির জায়গায় পিছিয়ে থাকায় আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিশাল সব মাঠে ভুগতে হবে বাংলাদেশকে। এভাবে খেললে বিশ্বকাপে ভাল কিছুর সম্ভাবনা দেখছেননা লিটন। অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মেয়ার্স ও নিকোলাস পুরান কি ব্যাটিং তাণ্ডবইনা চালালেন । দল যখন চাপে তখন এ দুজন পাওয়ার ক্রিকেট খেলে দলকে বের করে আনলেন। কিন্তু আমরা পারছিনা।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের বোলিংয়ের ঘাটতির কথা যেমন বললেন লিটন, তেমনি কৃতিত্ব দিলেন মেয়ার্স-পুরানকেও। সেখানেই তিনি তুলে ধরলেন ক্যারিবিয়ানদের সঙ্গে নিজেদের পার্থক্য। বোলিংয়ে আমরা পরিকল্পনা ঠিকমতো বাস্তবায়ন করতে পারিনি । তবে ওরা ঠিকই ওদের কাজটা করে ফেলেছে। এই জিনিসটা ওদের প্লাস পয়েন্ট। ওরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলে । যেটা আমরা খেলতে পারি না। এই ব্যাপারগুলি বোলারদের মাথায় কাজ করে যে একটু উনিশ-বিশ হলেই েের দেবে। তারা যে কোনো সময় চাইলেই বড় মাঠে শট খেলতে পারে। ছয় মেরে দিতে পারে। আমরা বা আমাদের দলের কারও সেই সামর্থ্য নেই। আমরা ব্যাটিংয়ে সবসময় চেষ্টা করি চার মারার জন্য। আমাদের খেলায় চার বেশি হয় ওদের ছয় বেশি হয়। এখানে অনেক পার্থক্য থাকে। এই পার্থক্য নিয়েই বিশ্বকাপের দিকে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পর মূল পর্বে আর কখনও কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। এবার বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে হবে মূল পর্বে। চ্যালেঞ্জ তাই আরও কঠিন থাকবে। শক্তিতে পিছিয়ে থাকায় এবারও বাংলাদেশের জন্য কাজটি কঠিন হবে বলে মনে করেন লিটন। ভালো ভালো দলগুলি থেকে আমরা অনেক পেছনে এখনও টি-টোয়েন্টিতে। আমাদের অনেক জায়গায় কাজ করার আছে। আমরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে পারি না। টি-টোয়েন্টি অনেকে বলেন স্কিলের খেলা। অনেক বলে টেকনিকের খেলা। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় পাওয়ার গেমও অনেক সময় দরকার পড়ে। আমার মনে হয় এই জায়গায় আমরা অনেক পেছনে। বিশ্বকাপে আমরা যেখানে খেলব, মাঠ অনেক বড় থাকবে। সেখানে এই জিনিসটা আমাদের অনেক ভোগাবে। এখন থেকে আমরা যত ম্যাচ খেলব, উন্নতি করব, তাহলে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারব বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ আর তিনটি সিরিজ-টুর্নামেন্ট পাবে নিজেদের তৈরি করার।