সৌদি আরবে আসছে জুনে হজের বিশাল কর্মযজ্ঞ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ওমরাহ পালনকারীদের জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির সরকার, যাতে হজের আগে তাদের সেখানে ঢোকা ও অবস্থানের একটি সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দেশটির সরকার বলছে, কেউ ওমরাহ পালন করতে চাইলে তাকে ১৩ এপ্রিলের আগেই দেশটিতে প্রবেশ করতে হবে। আর ২৯ এপ্রিলের পর কোনোভাবেই সৌদি আরবে অবস্থান করতে পারবে না। খবর বিডিনিউজের।
খালিজ টাইমস জানিয়েছে, ২৯ এপ্রিলের পর থেকে দেশটির সরকারি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নুসুকের মাধ্যমে কাউকে ওমরাহ পালনের সুযোগও দেওয়া হবে না। এ সময় থেকে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত ওমরাহ পালন বন্ধ থাকবে। সৌদি আরবে আগামী ৪ থেকে ৯ জুন হজের আনুষ্ঠানিকতা হবে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে হজে অংশগ্রহণ ঠেকানো, নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে হজ কার্যক্রম শেষ করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। হজযাত্রীদের আরও ভালোভাবে সমন্বয় করার পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও এই পদক্ষেপের কথা বলছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
গালফ নিউজ লিখেছে, হজের গত মৌসুমে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছিল। হজের জন্য নয় এমন ভিসা ব্যবহার করেও অনেকে তখন হজ করেন। ফলে হজের সময় ভিড় আরও বেড়ে যায়। নিয়ম না মেনে এভাবে হজে অংশগ্রহণ ঠেকাতে ওমরাহ পালনকারীদের ব্যাপারে ওই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ওমরাহ পালনকারীদের কেউ ২৯ এপ্রিলের পরে অবস্থান করলে তাকে আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যাপারেও হুঁশিয়ারি করেছে সৌদি সরকার। সেইসঙ্গে ওমরাহ যাত্রীদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা অপারেটর বা প্রতিষ্ঠানও যদি নিয়মের ব্যত্যয় করে, তবে এক লাখ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্রাভেলস দুবাই ডটকম লিখেছে, হজের আগে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেউ ওমরাহ পালন করতে চাইলে বৈধ ওমরাহ ভিসা ও সরকারি নুসুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বৈধ অনুমোদন থাকতে হবে। সৌদি সরকার স্বীকৃত লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে ওমরাহ পালনের বিষয়টিও যাত্রীদের নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ব্যক্তি, সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান শর্তের বরখেলাপ করলে ৫০ হাজার দিরহাম পর্যন্ত জরিমানা গুণতে হতে পারে। শাস্তি এড়াতে সকল নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলতে অংশী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয়।