বান্দরবান পার্বত্য জেলার ঐতিহ্যবাহী রাজকর আদায়ের উৎসব রাজ পুণ্যাহ মেলা প্রতিবছর ডিসেম্বরে আয়োজন করা হলেও এই বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে ১৪৩তম রাজপুণ্যাহ’র আয়োজন হবে না।
বোমাং রাজ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবান শহরের স্থানীয় রাজার মাঠে প্রতিবছর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তিনদিন ব্যাপী রাজ মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে জেলা প্রশাসন থেকে এমনিতেই মেলা আয়োজনের অনুমতি মিলবে না, তাই মেলার আয়োজনও হচ্ছে না।
বান্দরবানের বোমাং রাজা উ চ প্রু চৌধুরীর সহকারী অং ঝাই খ্যায়াং বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে মেলার আনুষ্ঠানিক আয়োজন না থাকলেও ঘরোয়া ভাবে রাজকর আদায়ের অনুষ্ঠান করতে পারে, তবে এখনও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রতিবছর মেলাকে ঘিরে জেলার ১১টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যমণ্ডিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এ সময় পাহাড়ি-বাঙালিদের মিলন মেলা পরিণত হয়, দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভিড় জমায় পর্যটন শহর বান্দরবানে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রবীণ নেতা হিসাবে বোমাং রাজার আর্শীবাদ পাওয়ার জন্য তিন পার্বত্য জেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে পাহাড়িরা রাজ দরবারে এসে ভিড় জমায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, জেলা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে রাজপূন্যাহ মেলা হয়ে থাকে। তবে এবার মেলা আয়োজনের বিষয়ে অবহিত করা হয়নি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর ডিসেম্বরে রাজ পূন্যাহ মেলা আয়োজনের জন্য নভেম্বরের শেষ দিকে জেলা প্রশাসনের অনুমতির জন্য বোমাং সার্কেলের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলেও এবার মেলা আয়োজনের জন্য আবেদন করা হয়নি। এই বিষয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দাউদুল ইসলাম বলেন, বোমাং সার্কেলের রাজ পূন্যাহ মেলা আয়োজনের বিষয়ে আমি অবগত নয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেও অজ্ঞাত কারণে বান্দরবানের বোমাং রাজ পরিবার জেলার ঐতিহ্যবাহী রাজ পূন্যাহ মেলার আয়োজন করেনি।